লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণ মনে করিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ মুম্বই হামলার স্মৃতি। তবে এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। একই সঙ্গে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনা ‘মর্মান্তিক’ বলেও উল্লেখ করেছেন রাজনাথ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০। আহত আরও ২০ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে ট্রাফিক সিগন্যালে থামা হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় এলাকায়। ঘটনার জেরে গোটা দেশে শুরু হয়েছে শোরগোল। এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি বিস্ফোরণের নেপথ্যের কারণ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্তারিত তদন্তের পরই এ ব্যাপারে আলোকপাত করা সম্ভব হবে।
Advertisement
রাজনাথের গলায়ও একই সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’ পুলিশের পাশাপাশি দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। ঘটনার পর পরই লালকেল্লার সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দল। এ ছাড়াও, এনএসজি এবং ফরেন্সিক দলও ঘটনার তদন্ত করছে।
Advertisement
তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি। গাড়ির মালিককে চিহ্নিত করা হয়েছে গাড়ির নম্বরপ্লেট দেখে। ওই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হরিয়ানার বাসিন্দা মহম্মদ সলমনের নামে। সোমবার রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গাড়িটি তিনি বিক্রি দেন। তবে কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করা হয়নি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সোমবার তাতে এক জনই ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আটক করা হয়েছে আরও চার জনকে। যদিও তাঁদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে তাঁরা বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা স্পষ্ট নয়।
Advertisement



