ফের শিরোনামে যোগী রাজ্য। এবার দলিত নিগ্রহের ঘটনা উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। যদিও এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও উত্তরপ্রদেশে দলিত অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। একটি মন্দিরের কাছে দলিত অসুস্থ বৃদ্ধকে প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। খানিক আগে সেখানেই ওই বৃদ্ধ প্রস্রাব করেন বলে খবর। তাই বৃদ্ধকে তা চাটতে বাধ্য করা হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। মূল অভিযুক্ত স্বামী কান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ৬০ বছরের রামপাল রাওয়াতকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধের নাতি মুকেশ কুমার জানিয়েছে, কাশতে কাশতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে প্রস্রাব করে ফেলেন দাদু। নাতির অভিযোগ এরপরই তাঁর দাদুকে ওই প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, দলিত বৃদ্ধকে কেবল মাটি ছুঁতে বাধ্য করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিযুক্ত এবং নিগৃহীতকে।
Advertisement
আধুনিক ভারতে আজও জাতপাত বিচার করা হয়। দলিত হওয়ার অপরাধে অত্যাচারের শিকার হতে হয়। ভারতীয় সংবিধানে জাতপাত প্রথা বিলোপের জন্য বৈষম্য বিরোধী আইন এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। ধারা ১৬ অনুযায়ী ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদির ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করার হয়েছে। এছাড়া সংবিধানের ধারা ৪৬-এ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, বিশেষ করে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের সব ধরনের শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর আজও দলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের নানা ভাবে হেনস্থা হতে হয়।
Advertisement
বিজেপিশাসিত রাজ্যে দলিতের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বিরোধী দলগুলি তোপ দেগেছে। এক্স হ্যান্ডলে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব লিখেছেন, ‘কেউ ভুল করতে পারে, তাই বলে অপমানজনক এবং অমানবিক শাস্তি দেওয়া যায় না। মানসিকতার পরিবর্তনই কেবল সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে।‘ কংগ্রেসের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য। এক্স হ্যান্ডলে কংগ্রেস লিখেছে, ‘লখনউতে সংঘের কর্মী প্রবীণ দলিত ব্যক্তিকে তারই প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করেছে।‘ অভিযুক্তের সংঘের সদস্য নন বলে জানিয়েছে যোগী পুলিশ। তারপরও বিতর্ক থামছে না। বিপাকে যোগীর সরকার।
Advertisement



