একাধিক রাজ্যের বিধানসভা এবং উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হতাশাজনক আর অন্যদিকে তুলনামূলকভালাে ফল করেছে কংগ্রেস। কেরলের বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেদের মতােন ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসও। আর বিজেপির এই হতাশাজনক ফলাফলে উল্লসিত বিরােধীরা।
বিজেপির জনসমর্থন যে ক্রমশ কমছে তার ফলফল এই নির্বাচনে ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছে বাম এবং কংগ্রেস দল এবং আগামী দিনেই বিজেপি হতাশাজনক ফল করবে বলে তাদের ধারনা। গেরুয়াঝড়ের দাপট কমায় খুশি শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেসও।
Advertisement
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সােমেন মিত্র মনে করেন সরকার যেই গড়ুক, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আবার প্রমাণ করল যে কংগ্রেসমুক্ত ভারতের তত্ত্ব, একটি অলীক কল্পনামাত্র। কংগ্রেস পাথরকুচি পাতার মতাে যেখানেই পড়বে, সেখানেই নতুন চারাগাছ জন্মাবে।
Advertisement
বাংলায় তৃণমূল-বিজেপির রাজ্যব্যাপী সন্ত্রাস এবং অশান্তি সৃষ্টির প্রতিবাদে কালীপুজো এবং ছটপুজোর পরে রাজ্যের সমস্ত গণতান্ত্রিক দল সংগঠিত হয়ে রাস্তায় নামবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সােমেন মিত্র।
কেরলে পাঁচটি বিধানসভার উপনির্বাচনে লালশিবির এবং কংগ্রেস দুটি করে আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে। অন্যদিকে পলিটব্যুরাে সদস্য মহম্মদ সেলিম বিজেপির ফলাফল নিয়ে খুশি। তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে গণপিটুনি, কাশ্মীরের ঘটনা এবং এনআরসির ভালাে প্রভাব পড়েছে এই নির্বাচনে।
হরিয়ানায় বিজেপি হারেনি। কিন্তু তাদের ঔদ্ধত্যকে পরাজিত করেছে জনগণ। তিনি মনে করেন, বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে যদি প্রচার না করা হত, সেক্ষেত্রে বিজেপি খুব একটা সুবিধা করতে পারত না। কেরলের উপনির্বাচনে সিপিএম তুলনামূলকভাবে ভালাে ফল করেছে। পলিটব্যুরাে সদস্য মনে করেন, যেখানে তাঁরা অতীতে জিততে পারতেন না, সেখানকার মানুষ এবারে বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে।
Advertisement



