দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, উদ্বেগ কেন্দ্রের

রাজধানী দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একই সপ্তাহে দু’বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Written by SNS New Delhi | June 22, 2020 5:03 pm

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Photo: PIB)

রাজধানী দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একই সপ্তাহে দু’বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও লেফটেনান্ট গভর্নর অনিল বৈজলও উপস্থিত ছিলেন।

গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার কিছু অংশ নিয়ে করোনা পরিস্থিতির পর্যালেচনা করেন। সংক্রমণ যেহারে বাড়ছে তাতে এমাসের শেষেই দিল্লিতে এক লাখ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। পরের মাসে সংক্রমণ পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজধানী দিল্লিতে পঞ্চান্ন হাজার করোনা রোগী রয়েছেন।

একটি অভিন্ন অ্যাকশন প্ল্যানের কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লি এবং পার্শবর্তী সংলগ্ন রাজ্যগুলিকে একই অঞ্চল ধরে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে রবিবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও লেফটেনান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের সঙ্গে রাজধানীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ প্রশমণে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নানা পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্লাজমা থেরাপির পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

রাজধানীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার ও অন্যান্য রাজ্যসরকারগুলিকে ভৎসনা করার পরই সরকারের টনক নড়েছে। অবস্থা পর্যালোচনায় তাই ঘন ঘন বৈঠক করা শুরু হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে জানায়, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পশুর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী একটি করোনায় মৃতদেহ আবর্জনার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। করোনা রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে, কিন্তু তাদের দেখার কেউ নেই। দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালের শোচনীয় অবস্থা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পরই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি ও সংলগ্ন রাজ্যসল্কারগুলিকে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লির সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি এলএনজেপি হসপিটাল পরিদর্শন করেন। সেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।