কৃষি সুরক্ষা আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে কংগ্রেস: রাহুল

কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কালা কানুন বাতিল করা হবে। কৃষি বিল নিয়ে এমনই আশ্বাস দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি।

Written by SNS New Delhi | October 5, 2020 2:49 pm

তিনদিনের ট্রাক্টর র‍্যালির সুচনা করলেন রাহুল গান্ধি। (Photo: Twitter/@INCIndia)

কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কালা কানুন বাতিল করা হবে। কৃষি বিল নিয়ে এমনই আশ্বাস দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। পাঞ্জাবে রবিবার তিনদিনের ট্রাক্টর র‍্যালির সুচনা করে এদিন রাহুল বলেন, ক্ষমতায় এলে মােদি সরকারের কৃষি সংক্রান্ত তিনটি ‘কালা কানুন’ বাতিল করা হবে। হাথরাস গণধর্ষণ-হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে কৃষি বিল বিরােধী আন্দোলন চলে গিয়েছিল ব্যাকফুটে। সেই হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের লােকজনের সঙ্গে দেখা করে ফের কৃষক বিলের অস্ত্রে শান দিলেন রাহুল গান্ধি। 

এদিন পাঞ্জাবে তিনদিনের ট্রাক্টর র‍্যালির সূচনা করে রাহুলের আশ্বাস ক্ষমতায় এলে মােদি সরকারের কৃষি বিল তিনি বাতিল করবেন। শনিবার হাথরাসে গিয়েছিলেন রাহুল নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আর এদিন রাহুল যান পাঞ্জাবে। ক্ষেতি বাঁচাও যাত্রা ’ নামে কর্মসুচির এদিন তিনি সূচনা করেন। এই কর্মসূচি আসলে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভকে অব্যাহত রাখা।

এদিন রাহুল বলেন, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি কংগ্রেস সরকার এলে কালা কানুন বাতিল করা হবে। বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য হল ন্যুনতম সহায়ক মূল্য বাতিল করা। এদিন দলের হাইকমান্ড থেকে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে সংশ্লিষ্ট বিলের খসড়া পাঠানাে হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিল পাশ করানাে। তবে সংবিধান অনুযায়ী সেই বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়ােজন। সেটা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কংগ্রেসের মধ্যেই। 

বিলে মূলত দুটি সংস্থান রাখা হয়েছে। এক, আইন সংশ্লিষ্ট রাজ্যে কবে থেকে কার্যকর করা হবে তা নির্ধারণ করবে রাজ্য সরকার আর অন্যদিকে কোনও সংস্থার সঙ্গে কৃষকের চুক্তি হলে যাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কম দামে ফসল কিনতে না পারে ওই সংস্থা তা এই বিলে থাকবে।

কংগ্রেসের এই জোটে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ডের মতাে রাজ্যের শাসকদলগুলিও সামিল হয়েছে। তবে এ রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মত বিধানসভাতে বিল আনা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বা কেরলে যেখানে কংগ্রেস শাসক দল নয় সেখানে কৃষি বিল নিয়ে অবস্থান কি হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। 

যদিও দেশের সংবিধান বলছে সংসদে কোনও বিল পাশ হলে তাকে আড়াল করতে রাজ্য বিধানসভায় তার বিরুদ্ধে বিল পাশ করানাে যেতে পারে। কারণ ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণ আইনের বিরুদ্ধে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য এরকমই নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রয়াত বিজেপি তথা মন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু এই বিলে রাজ্যপাল নয় রাষ্ট্রপতির সইয়ের প্রয়ােজন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি যদি সই না করেন তাহলে এই বিল আইনে পরিণত হবে না।