পাক-সংখ্যালঘুদের রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে সােচ্চার কংগ্রেস : মােদি

পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে কোনও কথা না বলার জন্য কংগ্রেস দলের কঠোর সমালােচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।

Written by SNS New Delhi | January 3, 2020 12:06 pm

নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে কোনও কথা না বলার জন্য কংগ্রেস দলের কঠোর সমালােচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি । মঙ্গলবার কর্নাটকে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী সংশােধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরােধী দলের সমালােচনা করেন। 

তিনি বলেন, সরকারের একটা দায়িত্ব আছে, পাকিস্তানে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনকে রক্ষা করার। সেজন্যই সংশােধিত নাগরিক আইন পাস করানাে হয়েছে অথচ কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরােধী দল প্রতিবেশী দেশগুলিতে সংখ্যালঘু মানুষের অত্যাচারের বিষয়ে কোনও কথা না বলে, তাদের রক্ষাকবজ হিসেবে পাস করা সংশােধিত আইন নিয়ে সরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। 

মােদি আরও বলেন, পাকিস্তানে অত্যাচারিত মানুষজনকে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের, তাদের ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, সিএএ’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ না দেখিয়ে বিরােধীদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানাে উচিত। ধর্মের ভিত্তিতেই পাকিস্তান গঠিত হয়েছে। সেখানে সংখ্যালঘুদের অত্যাচার করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী অভিযােগ করেছেন, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরােধীদলগুলি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে। সংশােধিত নাগরিক আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারের ফলে ভারতে অশ্রয়গ্রহণকারী অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ, কেরুল ও পাঞ্জাবে সংশ্লিষ্ট আইন বলবৎ না করার কথা ঘােষণা করেছে। আইনটি বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বুধবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সংশােধিত নাগরিক আইন বলবতের বিষয়ে রাজ্যগুলির সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা জানান। 

এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা সংশ্লিষ্ট আইন বাতিলের প্রস্তাব কেরল বিধানসভায় অনুমােদনের মাধ্যমে কেন্দ্রকে রাজ্য সরকারের বিশেষ ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে ‘দক্ষ আইনজ্ঞদের’ পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।