বিহারের ফলাফল নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে কাজিয়া

পি চিদম্বরম স্বীকার করে নিয়েছেন, বিহার এবং বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচনের ফলে বােঝা যাচ্ছে ওই সব জায়গায় কংগ্রেসের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই।

Written by SNS New Delhi | November 19, 2020 2:45 pm

কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহ চলছেই। কপিল সিব্বল এবং অধীর চৌধুরীর কাজিয়ার মধ্যেই এবার বােমা ফাটালেন দলের আর এক প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, বিহার এবং বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচনের ফলে বােঝা যাচ্ছে ওই সব জায়গায় কংগ্রেসের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই।

সেই সঙ্গে কংগ্রেস তার সাংগঠনিক ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি আসনে লড়েছিল বলেও মেনে নিয়েছেন চিদম্বরম। জয়ের কাছাকাছি এসেও কেন বিহারে ‘মহাগঠবন্ধন’কে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরেই থাকতে হল তা খতিয়ে দেখা প্রয়ােজন বলেও জানিয়েছেন চিদম্বরম। 

প্রসঙ্গত, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি যেন একের পর এক জ্বালামুখ খুলে দিয়েছে কংগ্রেসে। প্রথমে কপিল সিব্বল। এরপর পি চিদম্বরম এক সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম বলেন, সে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকের উপনির্বাচনের ফল নিয়ে বেশি চিন্তিত। কারণ এই ফলই বলে দিচ্ছে হয় বাস্তবে দলের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই অথবা থাকলেও তা দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এই সূত্রেই সদ্যসমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কথা বলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস জোটের জেতার সুযােগ ছিল। জয়ের এত কাছে এসেও কেন হার হল তা খতিয়ে দেখতে হবে।

মাথায় রাখতে হবে, কংগ্রেস রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং ঝাড়খণ্ডে খুব বেশি দিন আগে জেতেনি। পাশাপাশি এই ক্ষত ভুলে বিহারের ক্ষত ভুলে সামনের দিকে তাকাতে হবে। আগামী দিনে ভােট রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং পশ্চিমবঙ্গে। ওই রাজ্যগুলিতে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এর সাথেই কেন ক্ষমতা দখলের আশা জাগিয়েও পিছিয়ে পড়ল ‘মহাগঠবন্ধন’?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চিদম্বরম জানিয়েছেন, বিহারে কংগ্রেস নিজের ক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি আসনে লড়াই করেছে। তাঁর মতে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা যতটা তার থেকেও বিহারে বেশি আসনে লড়াই করেছে। কংগ্রেসের বাড়তি আসন প্রত্যাখ্যান করা উচিত ছিল। ৭০-এর বদলে ৪৫ টি আসনে প্রার্থী দিলে জোটের ফল আরও ভাল হত বলেই মনে করছেন তিনি। 

বিহার নির্বাচনে খারাপ ফলের পর ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের মধ্যে কাজিয়া। পরিস্থিতি এতটাই চরমে যে, প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ কপিল সিব্বলকে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বসলেন লােকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।