দিল্লি, ৫ মার্চ – কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির সঙ্গে আলোচনার পর দিল্লি কংরেসের সভাপতি শীলা দীক্ষিত জানিয়ে দিলেন আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করছে না দল। আপের সঙ্গে জোটে ‘না’ করার পরই কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুললেন আম আদমি পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার শিলা দীক্ষিত টুইটে জানান, ‘প্রদেশ কংগ্রেসের সর্বসম্মতিতে আপের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। এতে অনুমোদন দিয়েছে দোলীও সভাপতি রাহুল গান্ধি।
কংগ্রেসের তরফ থেকে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার পরই আম আদমি পার্টি প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করেন, কংগ্রেস, বিজেপিকে সাহায্য করছে। মোদি-শাহ জুটিকে হারাতে যখন দেশের সব বিরোধী দল এক জোট হয়েছে, কংগ্রেস সেখানে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করে সাহায্য করছে বিজেপিকেই’।
Advertisement
আপ নেতা কংগ্রেস-বিজেপির গোপন জোটের সঙ্গে অভিযোগ করেছেন ‘কংগ্রেস-বিজেপি গোপন জোট করতে চলেছে’। তবে আপ যে কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত সেকথা স্পষ্ট জানালেন কেজরিওয়াল।
Advertisement
আজ দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সভাপতি রাহুল গান্ধি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি শীলা দীক্ষিত জানান, ‘সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না কংগ্রেস। রাহুল গান্ধি এর আগেও একা লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন’।
আম আদমি পার্টির তরফ থেকে কংগ্রেসকে জোটের আহ্বান জানান হলেও প্রত্যাখান করে হয়েছে বলে আপের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে বেশ কয়েকবার। গত শনিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়েও ওই একই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দিল্লির লোকসভা নির্বাচনে ৭টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। একটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিল্লিতে কংগ্রেসকে ২টি আসন ছাড়তে পারে আপ। পরিবর্তে তারা পাঞ্জাব কংগ্রেসের থেকে কিছু আসন পাওয়ার আশা করবে। তবে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আপকে তার কোনও আসন ছাড়তে রাজি নন। সূত্রের খবর দলের অন্দরের চাপে পড়েই দিল্লিতে জোটে সম্মতিতে দিতে পারলেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি।
কংগ্রেসের সঙ্গে আপের জোট না হওয়াটা বিরোধী জোটের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিরোধী অন্যান্য দলগুলি যখন পুলওয়ামা কাণ্ড থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে মোদি সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে ঠিক সেই সময় বিরোধী জোটের সামনে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement



