গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে রজ উৎসব পালন করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সেই বন্ধুকে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালানো হয় তরুণীর উপর। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেরহামপুরের পুলিশ সুপার সরবণ বিবেক এম। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ও ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা চলছে। বর্তমানে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যাবেলায় গোপালপুর সৈকতে একটি উৎসবে বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তাঁরা দু’জনে সৈকতের একটু নির্জন স্থানে বসে গল্প করছিলেন। নির্যাতিতার দাবি, সেই সময় বাইকে আসা ১০ জন যুবক তাঁদের ঘিরে ধরে নানা রকম কটূক্তি করতে থাকেন। দু’জনের ছবি তাঁরা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। সেই সময় প্রতিবাদ করেছিলেন তরুণীর পুরুষ বন্ধুটি। এরপর তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে উপর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। তরুণীর বন্ধু বাধা চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলা রাখা হয়।
তারপর তরুণীকে টানতে টানতে নিয়ে অভিযুক্তেরা নিয়ে যান সৈকতের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। সেখানে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। এই ঘটনার পর কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে গোপালপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা এবং তাঁর বন্ধু। এরপর তদন্তে নেমে একে একে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা কেউই স্থানীয় নন। মনে করা হচ্ছে, তাঁরাও উৎসবে এসেছিলেন।