• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

প্রতারণার শিকার পুলওয়ামা হামলায় শহিদের স্ত্রীয়ের, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের 

প্রতারণার শিকার হলেন পুলওয়ামা হামলায় শহিদ রোহিতাশ লাম্বার স্ত্রী মঞ্জু লাম্বা। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন শহিদের স্ত্রী। অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মঞ্জু লাম্বা।  

প্রতারণার শিকার হলেন পুলওয়ামা হামলায় শহিদ রোহিতাশ লাম্বার স্ত্রী মঞ্জু লাম্বা। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন শহিদের স্ত্রী। অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মঞ্জু লাম্বা।  

মঞ্জু লাম্বার অভিযোগ, শাশুড়ি ঘিসি দেবী, শ্বশুর বাবুলাল এবং দেওর জিতেন্দ্র  ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁকে ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। এইভাবে তাঁকে দিয়ে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘আমার সম্মতি ছাড়াই অ্যাকাউন্টের মোবাইল নম্বর বদলে দেওয়া হয়। তাই কোনও নোটিফিকেশন আসলেও আমি জানতে পারিনি। সেখানে নিজের নম্বর যোগ করেছেন জিতেন্দ্র।’ হারমারা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
 
সংবাদ সংস্থাসূত্রে  খবর, মঞ্জু বলেছেন যে পুলওয়ামা হামলার পর তাঁর দুই মাস বয়সের ছেলের সঙ্গে একাই থাকতেন। সেই সময়ে তিনি সিআরপিএফ, কেন্দ্র ,রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে ৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে পুলওয়ামা কাণ্ডে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁদের দুমাসের ছেলেকে বড়  করে তুলতে  নিজেদের কাছেই রাখতে চান শ্বশুর-শাশুড়ি।  ছেলেকে তাঁদের কাছে রাখতে চাপ দেওয়া হতে থাকে।
 
অন্যদিকে  জিতেন্দ্র লাম্বার অভিযোগ, , মঞ্জু তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আলাদা বসবাস করছিলেন। পরিবারের সঙ্গেও সুসম্পর্ক ছিলনা। জিতেন্দ্রর অভিযোগ, মঞ্জুর আসল উদ্দেশ্য ছিল আবার বিয়ে করে বিদেশে চলে যাওয়া। তাঁর সন্দেহজনক আচরণের জন্য নিরাপত্তার কথা ভেবে  বাড়িতে ক্যামেরাও বসানো হয়। 
 
প্রসঙ্গত, এই মঞ্জু লামাই ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটের বাসভবনের বাইরে অন্যান্য শহিদদের স্ত্রীর সঙ্গে দেওরের চাকরির দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন।