অনলাইনে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড সহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি গার্ডেনরিচ থানার এক ট্র্যাফিক সার্জেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। সেই মামলার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দুপুরে তারাতলা রোডের উপর ক্লিন সিটির কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের একাধিক এটিএম কার্ড সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জেরা করে আরও তিনজনের হদিশ পায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার শিবপুর থেকে তাঁদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯(২), ৩১৮(৪), ৩৩৬, ৩৩৮, ৬১(২)-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
তারাতলা রোড থেকে ধৃতদের নাম শাহিনুর রহমান ফকির, রাহুল শেখ, আসফাক শেখ এবং আশিক মিস্ত্রি। চার জনেরই বয়স ১৮ থেকে ২৫-এর মধ্যে। তাঁরা সকলেই রবীন্দ্রনগর থানার অন্তর্গত সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ ওই চার অভিযুক্ত একটি গাড়িতে চেপে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তারাতলা রোডের উপর ক্লিন সিটির কাছে তাঁদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়ি থেকে একটি ধূসর রঙের ব্যাগ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া কার্ডগুলি অনলাইন প্রতারণার কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের পর এই এটিএম কার্ডের সাহায্যেই টাকা তোলা হত।
Advertisement
তারাতলা রোড থেকে ধৃত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিন জনের সন্ধান পায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার শিবপুর থেকে সেই তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম আলিমুদ্দিন শেখ, ফিরোজ শেখ ও শহিদ কাদরি। তিনজনেই ওড়িশার ভদ্রকের বাসিন্দা। কিন্তু বর্তমানে হাওড়ায় থাকেন। জানা গিয়েছে, গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত এটিএম কার্ডগুলি কেনার পরিকল্পনা করেছিলেন আলিমুদ্দিন সহ ৩ অভিযুক্ত। তাঁদের হাওড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড, আধার কার্ড ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Advertisement
Advertisement



