বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর)। শনিবার এক হিন্দি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফের জানালেন, বাংলাতেও সেই সমীক্ষা কার্যকর হবে। একইসঙ্গে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শাহের বক্তব্য, ‘সরকার বদল করুন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ হবে।’
এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা হল নির্বাচন। যদি নির্বাচন কমিশন এসআইআর করে অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়, তবে বিরোধীদের এত অস্বস্তি কেন? যারা ভারতের নাগরিকই নন, তারা কীভাবে ভোটার হতে পারেন? প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা কি বিদেশিরা ঠিক করবেন?’
Advertisement
শাহের দাবি, ‘বাংলার বর্তমান সরকার শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক রক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সেই বেআইনি অনুপ্রবেশের রাস্তাই বন্ধ হয়ে যাবে।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, বিহারে এসআইআর চালুর সময় বিরোধীরা যেমন কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন, তেমনই বাংলাতেও উঠছে একই অভিযোগ— ‘বৈধ’ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার মাধ্যমে ভোটে সুবিধা নিতে চাইছে বিজেপি ও তার সঙ্গীরা।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই স্পষ্ট করেছেন, ‘বাংলায় এসআইআর করতে দেব না। বৈধ ভোটারদের নাম বাদ গেলে নির্বাচন সদন ঘেরাও করা হবে।’
শনিবার সেই মন্তব্যের জবাবে অমিত শাহের কটাক্ষ, ‘মমতা তো সংবিধানের উপরে বাস করেন, আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে কাজ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিহারে অনেক কথা হয়েছিল, তবু এসআইআর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও হবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাহের এই বক্তব্য নিছক প্রশাসনিক ঘোষণা নয়— এটি এক স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে ‘অনুপ্রবেশ’ এবং ‘ভোটার তালিকা সংস্কার’-কে হাতিয়ার করে বাংলায় ফের জনমত গড়ে তুলতে।
Advertisement



