ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিল হেমন্ত ঘনিষ্ঠ চম্পাই সোরেন

Written by SNS February 2, 2024 4:21 pm

রাঁচি, ২ ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে আজ শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন হেমন্তের অনুগত চম্পাই সোরেন। জেএমএম -এর এই নেতা আজ রাঁচির রাজভবনে এসে শপথগ্রহণ করেন। চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা বিধানসভার বিধায়ক। তিনি সাত বার বিধায়ক হিসেবে জিতে আসছেন। এর আগে হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রীসভায় তিনি পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি জেএমএম-এ যোগদানের আগে একজন নির্দল বিধায়ক ছিলেন।

চম্পাই সোরেনের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডে ইন্ডিয়া ব্লকের নতুন মন্ত্রী সভার অন্যতম সদস্য হিসেবে আরও দুইজন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন। জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোট সরকারের এই দুই ব্যক্তি হলেন কংগ্রেসের আলমগীর আলম এবং আরজেডি নেতা সত্যানন্দ ভক্ত।

সূত্রের খবর, বিধানসভার ফ্লোর টেস্টের আগে বিজেপি-র দল ভাঙ্গানো বন্ধ করতে একঝাঁক বিধায়ককে আজই হায়দরাবাদে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৮১ জন বিধায়কের ঝাড়খন্ড বিধানসভায় জেএমএম-এর কাছে রয়েছে ২৯ জন বিধায়ক। কংগ্রেসের দখলে রয়েছে আরও ১৭ জন বিধায়ক। এছাড়া আরজেডি ও সিপিআই(এমএল)-এর দখলে রয়েছে একটি করে আসন। সব মিলিয়ে নতুন জোট সরকারের কাছে রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। সেখানে ইন্ডিয়া ব্লকের সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪৩ জন বিধায়ক। অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সহ এনডিএ-এর দখলে রয়েছে ৩২ টি আসন। রাজ্যের ৮১টি বিধানসভার মধ্যে একজন বিধায়কের পদ এখনও খালি রয়েছে।

গতকাল ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণান রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য চাপে পড়ে হেমন্ত সোরেনের অনুগত চম্পাই সোরেনকে সরকার গঠনের জন্য ডাকতে বাধ্য হন। তবে আগামী দশ দিনের মধ্যে চম্পাই সোরেনকে ঝাড়খন্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। এর আগে চম্পাই সোরেন ৪৩ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত গত বুধবার টানা ছয় ঘন্টা ইডি-র জেরার মুখে পড়েন জেএমএম প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাঁর একাধিক যোগসূত্র মেলায় ওইদিন সন্ধ্যায় রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণাণের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন। এরপর রাতে সোরেনকে গ্রেপ্তার করে ইডি।

ইডি তদন্তে জানতে পারে, বিপুল সম্পত্তির নথি জাল করে বেনামে সেই সম্পত্তি কোটি কোটি টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। যার সঙ্গে হেমন্ত সোরেন জড়িত রয়েছে। এব্যাপারে একাধিক নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।