‘আরটিআই আইন’ বানচাল করতে চাইছে কেন্দ্র : সােনিয়া গান্ধি

সােমবার লােকসভায় পাশ হওয়া আরটিআই আইনের সংশােধনীকে ‘আরটিআই বাতিল বিল’ বলে অভিহিত করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সােনিয়া গান্ধি।

Written by SNS New Delhi | July 24, 2019 12:39 pm

সোনিয়া গান্ধি (File Photo: IANS)

সােমবার লােকসভায় পাশ হওয়া আরটিআই আইনের সংশােধনীকে ‘আরটিআই বাতিল বিল’ বলে অভিহিত করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সােনিয়া গান্ধি।

মঙ্গলবার লােকসভায় সােনিয়া গান্ধি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আরটিআই আইনকে অনাবশ্যক হিসেবে দেখছে। ২০০৫ সালে পাশ হওয়া মানুষের তথ্য জানার অধিকার আইনটিকে বিজেপি সরকার সম্পূর্ণভাবে পঙ্গু করে দিতে চাইছে। এই আইন পাশ করার আগে দেশের সকল স্তরের মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং দলমত নির্বিশেষে লােকসভায় আইনটি পাশ করা হয়। এখন মানুষের অধিকার খর্ব করতেই সরকার সেই আইনটিকে বাতিল করতে চাইছে নানাভাবে।

উল্লেখ্য সােমবার লােকসভায় আরটিআই সংশােধনী বিল পাশ করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য তথ্য কমিশনারের নিয়ােগ, বেতন, কার্যকালের মেয়াদ প্রভৃতির ক্ষেত্রে সরকারকে সার্বিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। 

বিরােধীরা আরটিআই সংশােধনী বিলকে ‘আরটিআই বাতিল বিল’ আখ্যা দিয়ে তথ্য কমিশনারে নিয়ােগ, তার বেতন নির্ধারণ, কার্যকালের মেয়াদ এবং অন্যান্য শর্ত নির্ধারণের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে সঁপে দিয়ে আরটিআই আইনের স্বাধীনতাকেই সার্বিকভাবে খর্ব করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে তথ্য আধিকারিকরা তাঁদের চাকরি বজায় রাখতে সরকারের নির্দেশকেই মানতে বাধ্য হবে। বিরােধীরা বিজেপি সরকারের লােকসভায় পাশ করা ‘আরটিআই সংশােধনী বিল’ রাজ্যসভায় আটকে দিতে সচেষ্ট। কারণ এই মুহুর্তে রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তবে বিজেপি সরকারও বসে নেই। তারা নানাভাবে সদস্যদের বােঝাতে চাইছে যে, মনমােহন সিং সরকারে পাশ করা আরটিআই আইনের ত্রুটিগুলি শুধরে নিতেই এই সংশােধনী এনেছে।

এক্ষেত্রে বিজেপি সরকারের বক্তব্য হল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনারের পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদমর্যাদার সমান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বক্তব্যকে দেশের যেকোনও নিম্ন আদালতে বিচারের জন্য পেশ করা যায়। সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও সংশােধন করা হয়েছে।

সােনিয়া গান্ধি তাঁর বক্তব্যে জানান, বিগত এক দশকে ৬০ লাখ মানুষ আরটিআই আইন ব্যবহার করেছেন। স্বচ্ছতা এবং অঙ্গীকারবদ্ধতা রক্ষায় আরটিআই আইন এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সংশােধনের নামে আইনটি বাতিল করার বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলা জরুরি।