• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কাশ্মীর থাকছে কাশ্মীরিদের, নতুন নির্দেশিকা জারির দু’দিনের মধ্যেই পিছু হটল কেন্দ্র !

গত বছরের অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র।

গত বছরের অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। (File Photo: IANS)

মাত্র দুই দিন আগেই কাশ্মীরি কারা, সেই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, কোনও ব্যক্তি যিনি কমপক্ষে ১৫ বছর জম্মু ও কাশ্মীরে বাস করেছে অথবা কমপক্ষে সাত বছর সেখানে পড়াশুনা করেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দশম দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছেন, তিনিই কাশ্মীরি।

নয়া নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছিল, সরকারি কর্মী, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস কর্মী, পাবলিক সার্ভিস ইউনিয়ন কর্মী, ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কর্মী বা যেকোনও সরকারি দফতরের কর্মী যারা দশ বছর বা তার অধিক সময় কাশ্মীরে কাজ করছে তারা এবং তাদের সন্তানরাও কাশ্মীরের নাগরিক।

Advertisement

এছাড়া যেসব ব্যক্তি বর্তমানে কাশ্মীরের বাইরে থাকেন অথচ তাদের বাবা-মা নাগরিকত্বর শর্তগুলি পূর্ণ করেছে, তারাও কাশ্মীরের নাগরিক বলে বিবেচিত হবেন।
তবে এই নতুন নির্দেশিকা মেনে নিতে পারেনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি। এমন কি বিরোধিতা করে জম্মু শাখার বিজেপি’র সদস্য ও নেতারা। তারা এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে কথাও বলেন বলে জানা যায়।

Advertisement

নতুন এই নির্দেশিকার জেরে শুধুমাত্র গ্রুপ ডির চাকরি স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে জানা যায়। যা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি জম্মুর বিজেপি নেতারা। এরই জেরে চাপে পড়ে যায় কেন্দ্র। আর বাধ্য হয়েই নির্দেশিকা জারির দুই দিনের মাথাতেই তা প্রত্যাহার করল কেন্দ্র।

গত বছরের অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে গোটা রাজ্য ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও গঠন করা হয়। এরপরই কাশ্মীরের নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা নিয়ে এই নয়া নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

৩৭০ ধারা বিলাপের আগে কাশ্মীরের নাগরিকতা প্রসঙ্গে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিত কাশ্মীরের আইনসভা বা বিধানসভা। এর উপর ভিত্তি করেই সেখানকার রাজ্য সরকারের চাকরি এবং জমি কেনার অধিকার শুধু কাশ্মীরিদেরই থাকত। প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে রাজ্য ভাগের পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকলেও নির্বাচন না হওয়ায় সেখানে কোনও বিধানসভা গঠন করা হয়নি।

Advertisement