বাড়িতে হানা সিবিআই ও ইডি’র, চিদম্বরমের আগাম জামিন খারিজ

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।

Written by SNS New Delhi | August 21, 2019 4:52 pm

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (File Photo: IANS)

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পর গ্রেফতারি থেকে আপাত রেহাই পেতে চিদম্বরম সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও তাঁকে আগামিকাল আবেদন করতে বলা হয়। 

তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার সূর্য প্রতাপ সিং’র সঙ্গে দেখা করে আজই পি চিদম্বরমের আবেদনের শুনানি করার জন্য দ্রুত তালিকাভুক্ত করার অনুরােধ করেন। 

শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার সিব্বলকে আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রামনের কোর্টে আবেদন করার সুপারিশ করেন। আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত করছে। 

এদিকে, আজ সন্ধ্যেবেলায় সিবিআই ও ইডি আধিকারিকরা চিদম্বরমের বাসভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। 

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গৌড় আইএনএক্স মামলায় পি চিদম্বরমের দুটি আবেদন খারিজ করে দেন। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা অনুরােধ করেছিলেন, তাঁকে গ্রেফতারি থেকে তিন দিন অন্তর্বর্তীকালীন রেহাই দেওয়া হােক। আদালত চিদম্বরমের আবেদনটি খারিজ করে দেয়। 

চিদম্বরমের আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালতের তরফে দুটি বিষয়ের কথা বলা হয়, একটি, আদালতে জবাব দেওয়ার সময় চিদম্বরম জটিলতার আশ্রয় নেন। পাশাপাশি মামলাটির গভীরতা রয়েছে। 

আইএনএক্স মিডিয়ায় মামলায় চিদম্বরমের সঙ্গে অন্য অভিযুক্তদের কোনও তুলনা হয় না। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে চিদম্বরমের মামলাটি সমান নয়, কারণ তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বিদেশি বিনিয়ােগে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। চিদম্বরমকে আগাম গ্রেফতারি জামিন দেওয়া যাবে না কারণ তিনি সাংসদ। 

চিদম্বরম অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন আইএনএক্স মিডিয়াকে ৩০৭ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়ােগ পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমােশন বাের্ড নিয়ম লঙঘন করে বেআইনিভাবে ছাড়পত্র দিয়েছিল। ২০১৭ সালে সিবিআই বেআইনিভাবে ছাড়পত্র দেওয়ার ঘটনায় এফআইআর করেছিল। 

তাঁর একবছর পর ইডি অর্থ জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছিল। আইএনএক্স মামলায় সিবিআই কার্তি চিদম্বরমকে আগের বছর ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করেছিল। মার্চে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। তাঁকেও ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে। পি চিদম্বরমকেও ইডি জিজ্ঞাসা করে। পাশাপাশি কার্তি চিদম্বরমের ৫৪ কোটি টাকার সম্পত্তি আটক করা হয়েছে।