ক্ষমতা ও অর্থবলে বিজেপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে : কংগ্রেস

ফের মুলতুবি, আগামিকাল সকাল দশটা পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির আবেদনের শুনানি মুলতুবি রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

Written by SNS Bhopal | March 19, 2020 10:38 pm

সুপ্রিম কোর্ট (File Photo: IANS)

ফের মুলতুবি, আগামিকাল সকাল দশটা পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির আবেদনের শুনানি মুলতুবি রাখল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার এন পি প্রজাপতিকে ১৬ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফাগুলির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলা হয়। 

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, কংগ্রেস দলের ওই বিধায়কদের পুনর্নির্বাচনে করা হবে। তারপরই শক্তি পরীক্ষা করা হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি টাকা ও বাহুবল দিয়ে ‘গণতন্ত্রকে কজা করছে’। সিনিয়র অ্যাডভোকেট দুশন্ত দাভে বলেন, পুরো বিষয়টি শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হোক। রাজ্যপালের শাসক দলকে শক্তি পরীক্ষা করতে বলেছেন, যা ‘অসাংবিধানিক’। বিজেপি’র তরফেও পাল্টা বলা হয়, মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ক্ষমতায় থাকার কোনও নীতিগত, আইনি, সাংবিধানিক অধিকার নেই।

আইনজীবী দাভে বলেন, ‘ক্ষমতা ও অর্থ যে দলের হাতে রয়েছে, তারা এধরণের কাজ করতে পারে। আপনারা বিরোধী দলকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ক্ষমতার ব্যবহার করছেন। কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন। আদালত ঠিক করবে। অর্থ ও ক্ষমতা দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। আদালত তা কোনওদিন মেনে নেবে না’। 

শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ বিজেপি’র আবেদনের শুনানি করছেন। বিজেপি’র তরফে মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারকে শক্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় জনতা পার্টি অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পর শীর্ষ আদালত কমলনাথ প্রশাসন, অধ্যক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছে। 

এদিকে, আজ শুনানি চালু হওয়ার আগে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বেঙ্গালুরু পৌছে দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁকে দেখা করতে না দেওয়া হলে তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনের ঘোষণা করেন। তারপরই কংগ্রেস নেতাকে সুরক্ষামূলক হেফাজতে নেওয়া হয়। বেঙ্গালুরু থেকে কংগ্রেস বিধায়করা কর্ণাটকের ডিজি’কে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন, তাদের সঙ্গে যেন কংগ্রেসের কোনও নেতা ও দলের সদস্যদের দেখা করতে দেওয়া না হয়, কারণ তাদের প্রাণ সংশয় ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি রয়েছে।