বিহারে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোট পড়েছে ৬৫.৮ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত এই পরিসংখ্যানই রাজ্যের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটদানের হার বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দেশের তৃতীয় জনবহুল রাজ্য বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে ৬ তারিখ। ১১টি বিধানসভা আসন নিয়ে গঠিত মুজফফরপুর জেলায় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৭১.৮১ শতাংশ। বিপরীতে ১৪টি বিধানসভা আসন নিয়ে গঠিত পাটনা জেলায় ভোটদানের হার সর্বনিম্ন, ৫৯.২ শতাংশ।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় বিহারের ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও যেটি উল্লেখযোগ্য তা হল, ১২১টি বিধানসভা আসনে কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলের নেতার তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। এমনকি পুনর্নিবাচনের দাবিও জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে কমিশন।
Advertisement
কমিশনের তরফে নির্বাচনে স্বচ্ছতার উপর জোর দিতে এবং ভোটকেন্দ্রে কোনওরকম অনিয়ম ঘটে থাকলে তা যাচাই করতে পুনর্নিবাচনের সুপারিশের জন্য ফর্ম ১৭এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সব প্রার্থীকেই যাচাইয়ের তারিখ, সময় এবং স্থান সম্পর্কে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল।
Advertisement
কমিশনের তরফে রিটার্নিং অফিসার এবং সাধারণ পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে বিহার বিধানসভার প্রথম দফার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত নথিপত্র যাচাই করা হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টরাও এই যাচাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কমিশন নির্ধারিত ওই প্যানেল জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোনও ভোটকেন্দ্রে কোনও রকম অনিয়ম বা অসঙ্গতি মেলেনি।
মুজফফরপুরের পর ভোটদানের হারে এগিয়ে রয়েছে সমস্তিপুর, ৭১.৭৪ শতাংশ। এছাড়াও মধেপুরা ৬৯,৫৯ শতাংশ, সহরসা, ৬৯. ৩৮ শতাংশ। ভোটদানের সামগ্রিক পরিসংখ্যান দেখে একে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। ভোট গণনা ১৪ নভেম্বর।
বিহারে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং জেডিইউ-এর নেতৃত্বাধীন এনডিএ ১২৫টি আসন পেয়েছিল৷ আরজেডি এবং কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন পেয়েছিল ১১০টি আসন৷ অন্যান্য দলগুলি ৮টি আসন জিতেছে। আরজেডি ৭৫টি বিধানসভা আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল। বিজেপি জেতে ৭৪টি আসন, এবং জেডিইউ ৪৩টি আসন।
Advertisement



