বিহার বিধানসভায় ফের জয়জয়কার এনডিএ জোটের।জনতার রায় নিয়ে ফের প্রত্যাবর্তন। অন্যদিকে আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধনের ফলাফল প্রমাণ করেছে, তেজস্বী যাদবের যাবতীয় প্রতিশ্রুতি দাগ ফেলতে পারেনি ভোটারদের মনে। তবে নিজের কেন্দ্র রাঘোপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। এই নিয়ে পরপর ৩ বার জিতলেন তিনি। তিনি পরাজিত করেছেন বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমারকে। বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমারকে ১১ হাজার ভোটে হারান তিনি।
প্রতিটি বাড়িতে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল প্রতিটি বাড়িতে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। তেজস্বীর দাবি ছিল, গত ২০ বছর ধরে বিহারের যুবসমাজ নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এসেছে। এবার তারা আরজেডি-র দিকে ঝুঁকেছে চাকরির নিশ্চয়তার জন্য। কিন্তু ভোটের যা ফলাফল তাতে পরিস্কার তাঁর এই প্রতিশ্রুতিতে চিঁড়ে ভেজেনি।
২০১৫-র নির্বাচনে ১৫৭টি আসনে লড়াই করে ৫৭টিতে জিতেছিল বিজেপি। ২০২০-তে ৭২টি আসনে জিতে জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের দলকে অতিক্রম করে যায় তারা। আর এবার গতবারের মার্জিনকেও পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় ভারতীয় জনতা পার্টি।
অন্যদিকে বিহারে মহিলা ভোটকে পাখির চোখ করেছিল উভয় পক্ষই। তেজস্বী যাদবেরা বছরে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে বিজেপির হাতিয়ার ছিল ১.৩ কোটি মহিলাকে ব্যবসা করার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। বিজেপির ক্ষেত্রে বাড়তি ভরসা জুগিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা প্রকল্পের সূচনা করে সেই টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া। অ্যাকাউন্টে সেই ১০ হাজার টাকা ঢুকতেই বিশ্বসযোগ্যতা অর্জন করেছে এনডিএ।
অন্যদিকে কাজে আসেনি বিহারে রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা। ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে ৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৭ আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। ৫ বছর পর ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে হয় ১৯। ২০২৫-এর নির্বচনে কংগ্রেসের ফলাফল শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ১টিতে জয় হয়েছে ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
Advertisement