• facebook
  • twitter
Saturday, 5 October, 2024

যাদবপুরের মিছিলে ‘আজাদি’ স্লোগান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার 

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে 'কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি' স্লোগান। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রবিবার মশাল মিছিল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শহরের একাধিক জায়গা থেকে এই মিছিলে অংশ নেন সাধারণ মানুষও। যাদবপুরে একটি মিছিলে স্লোগান ওঠে 'কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি'। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে  কলকাতা পুলিশের তরফে পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার পর তথ্যানুসন্ধানে নেমে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা সোমবার রিপোর্ট জমা দেন।  

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রবিবার মশাল মিছিল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শহরের একাধিক জায়গা থেকে এই মিছিলে অংশ নেন সাধারণ মানুষও। যাদবপুরে একটি মিছিলে স্লোগান ওঠে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে  কলকাতা পুলিশের তরফে পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার পর তথ্যানুসন্ধানে নেমে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা সোমবার রিপোর্ট জমা দেন।  

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও খতিয়ে দেখতে চায় এই প্রচার পূর্ব পরিকল্পিত কিনা। বিশেষত, মিছিলের আয়োজকদের পরিচয়,  স্লোগানদাতারা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, কিংবা স্লোগানটি ইচ্ছাকৃতভাবে দেওয়া হয়েছিল কিনা সেসব দিকও বিশদে খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্র।  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছে, এই স্লোগানের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ১৬ জনকে চিহ্নিত করে ছবি-সহ বিস্তারিত তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন গোয়েন্দারা। তালিকায় রয়েছেন যাদবপুরের কয়েক জন প্রাক্তনীর নাম। এঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দেশবিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 
 
রবিবার রাতে যাদবপুরে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে মিছিল বের হয়। সেই মিছিলের মধ্যে থেকেই স্লোগান ওঠে কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি। প্রশ্ন ওঠে নাগরিক আন্দোলনের আড়ালে কি দেশদ্রোহিতা দানা বাঁধছে ? কাশ্মীরের আজাদির স্লোগান কেন উঠল তিলোত্তমার বিচার চেয়ে আয়োজিত স্লোগানে ? এরপরই তৎপর হয়ে ওঠেন গোয়েন্দারা। পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। আন্দোলনের অভিমুখ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় সরকারও। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সমাবেশের আয়োজনকারীদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু করতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।  
 
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য নির্বাচন হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে। ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার পেয়েছেন সেখানকার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান সহজভাবে দেখছে না কেন্দ্রীয় সরকার।  কাশ্মীরে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তান। অন্যদিকে উপত্যকায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণকে বিশ্বের মঞ্চেও তুলে ধরেছে ভারত। ফলে যাদবপুরের মিছিলে কাশ্মীর নিয়ে স্লোগান ভাবিয়ে তুলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে।