কমতে পারে জিএসটির গড় হার। একটি সংবাদমাধ্যমের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসে এমনই ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এর আগে ২০১৭ ও ২০২৩ সালে দুই দফায় জিএসটির গড় হার কমানো হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি-র গড় হার ধরা হয় ১৫.৮% এবং ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১১.৪ শতাংশ। এবার তা আরও অনেকটা কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
প্রসঙ্গত পূর্বেই তৈরি হয়েছিল জিএসটি কাউন্সিল। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সমন্বয়ে সেটি গঠন করা হয়। সেই কাউন্সিল এবার মূল পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। কাউন্সিলের পরবর্তী সভার আগে অর্থমন্ত্রী পুরো বিষয়টির একটি পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। করের হার ধার্য করা এবং সেটিকে যুক্তিসঙ্গত করার জন্য একদিকে করের ধাপ হ্রাস করার পাশাপাশি হার সহজীকরণ করার মতো প্রক্রিয়াও অবলম্বন করা হয়েছে।
Advertisement
নির্মলা বলেন, ‘সকলেই ভালো কাজ করেছেন। তবে আমি কাউন্সিলে তা গ্রহণ করার পূর্বে পুরোটা পর্যালোচনা করে দেখব।’ এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বিলগ্নিকরণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের লক্ষ্য সাধারণ খুচরো লগ্নিকারীর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় পুঁজি বাড়ানো। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
Advertisement
উল্লেখ্য, মূলত কর আদায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দফায় দফায় জিএসটির গড় হার হ্রাস করা সম্ভব হচ্ছে। এদিনের অনুষ্ঠানে নির্মলা বলেন, করের ধাপকে যুক্তিসঙ্গত করে তোলার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। তার জেরে আগামীদিনে জিএসটির হার আরও কমতে চলেছে। তবে শেয়ার বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব নয়। কারণ, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা, লোহিতসাগরে অশান্তি এবং জলদস্যুর হামলার মতো নানাবিধ বিষয় এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
Advertisement



