• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মুখতারের শেষকৃত্যে গাজিপুরে মানুষের ঢল, জনতার চাপে হিমশিম খেল পুলিশ 

গাজিপুর, ৩০ মার্চ –  প্রয়াত রাজনৈতিক নেতা ও গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির শেষকৃত্য সম্পন্ন হল শনিবার। শেষকৃত্যে অংশ নিতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে ঢল নাম মানুষের। গাজিপুরের মহম্মদাবাদের কবরস্থানে এদিন আনসারির শেষকৃত্য হয়। তাতে অংশ নিতে ভিড় জমান বিপুল সখ্যক সমর্থক তাঁদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ভিড় সরাতে লাঠি চার্জও করতে হয় পুলিশকে। শনিবারের এই শেষকৃত্যে অশান্তি এড়াতে গাজিপুর এবং

গাজিপুর, ৩০ মার্চ –  প্রয়াত রাজনৈতিক নেতা ও গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির শেষকৃত্য সম্পন্ন হল শনিবার। শেষকৃত্যে অংশ নিতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে ঢল নাম মানুষের। গাজিপুরের মহম্মদাবাদের কবরস্থানে এদিন আনসারির শেষকৃত্য হয়। তাতে অংশ নিতে ভিড় জমান বিপুল সখ্যক সমর্থক তাঁদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ভিড় সরাতে লাঠি চার্জও করতে হয় পুলিশকে। শনিবারের এই শেষকৃত্যে অশান্তি এড়াতে গাজিপুর এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলে সাজাপ্রাপ্ত মুখতারের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে।

 

বান্দা জেলে বন্দি গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন।  তাঁকে বান্দা মেডিকেল কলেজের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চিকিৎসক মুখতারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই গাজিপুর, মাউ -সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়।  রাজ্য পুলিশের ডিজি এস এন সাবতের জানান, গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি রোজা রাখতেন। রোজা রাখার পর তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। 
 
শুক্রবার গভীর রাতে বান্দার হাসপাতাল থেকে মুখতারের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় গাজিপুরের পৈতৃক ভিটেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ২৪টি ভ্যান এবং অ্যাম্বুল্যান্স-সহ কনভয়ে ছিল মোট ২৬টি গাড়ি। ৪০০ কিলোমিটার যাত্রাপথে প্রয়াগরাজ, ভাদোহী, কৌশাম্বী, বারাণসীর মতো জেলাগুলিতে ছিল পুলিশি নজরদারি। দেহবাহী অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন মুখতারের দুই পুত্র উমর এবং আব্বাস। মুখতার আনসারির বাড়ির সামনে ছিল বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়। গাজিপুরের বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে পরিবারের তরফে মুখতারের দেহ গ্রহণ করেন তাঁর দাদা তথা প্রাক্তন বিধায়ক সিবগাতুল্লাহ আনসারি এবং তাঁর পুত্র তথা মহম্মদাবাদের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক সুহেব।  মাউয়ের বিধায়ক আব্বাসও বর্তমানে জেলবন্দি। আদালতের অনুমতি নিয়ে পিতার শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে কবরস্থ করার জন্য শবযাত্রা পৌঁছয় কবরস্থানে। কিন্তু শেষকৃত্যে আসা বহু মানুষ মুখতার আনসারির কবরে মাটি দিতে চান। পরে পুলিশি তৎপরতায় তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উপস্থিতিতে কবরস্থ করা হয় মুখতারকে।

Advertisement

Advertisement