পাটনা, ১৩ জুলাই– কোথাও চাতক পাখির চাওয়া শেষ হচ্ছে না তো কোথাও অঝোর বারিণে ধরিত্রি ‘ত্রাহিমাম’ রব তুলেছে৷ একদিকে পশ্চিমবঙ্গ যেখানে বুকফাঁটা রোদ, প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল, অন্যদিকে বিহার, ইউপি, অসমে বৃষ্টিতে বন্যা৷ বিগত দু-দিনে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতেই কার্যত প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৬০ জনের, আহত একাধিক৷
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে৷ দেখা গেছে, উত্তরপ্রদেশের ১০ জেলার ৪৩ জনের মৃতু্য হয়েছে বজ্রপাতে৷ আর বিহারের একাধিক জেলা মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২০, আহত ৪০ জন৷ এই তথ্য শুধুমাত্র গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের৷ আবহবিদরা বলছেন, বর্ষাকালে একের পর এক এমন বজ্রপাতের ঘটনা খুব একটা স্বাভাবিক নয়৷
যদি বিষয়টি স্বাভাবিক না হয় তাহলে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সব জায়গায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে সে সব জায়গা আগে থেকে শুকনো এবং গরম ছিল৷ বৃষ্টির জল তপ্ত জমিতে পড়ার ফলে হঠাৎ করেই আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে গেছে৷ ফলত এই পরপর বজ্রপাতের ঘটনা৷
আবহাওয়া দফতর বলছে, সাধারণত এমন বজ্রপাতের ঘটনা বর্ষাকাল শুরুর আগে বা বর্ষাকাল শেষ হয়ে যাওয়ার সময়ে হয়৷ পুরোদমে যখন বর্ষাকাল চলছে তখন এই মুহুর্মুহু বজ্রপাতের ঘটনা সত্যিই খুব একটা দেখা যায় না৷
এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা, যেটি বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গেছে৷ অন্যদিকে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে জয়সলমীর, কোটা শিবপুরি ডালটনগঞ্জ হয়ে পুরুলিয়া-কাঁথি পর্যন্ত বিস্তৃত৷