সঙঘর্ষে অসম-মিজোরাম, কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক দুই মুখ্যমন্ত্রীর

অশান্তিতে উত্তপ্ত অসম ও মিজোরামের সীমান্ত। দুই রাজ্যের মানুষের মধ্যে ভয়াবহ সঙ্ঘর্ষে আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

Written by SNS Guwahati | October 20, 2020 6:40 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

অশান্তিতে উত্তপ্ত অসম ও মিজোরামের সীমান্ত। দুই রাজ্যের মানুষের মধ্যে ভয়াবহ সঙ্ঘর্ষে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। রবিবার এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যােগাযােগ করেছে দুই রাজ্যের প্রশাসন। বর্তমানে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে মিজোরামের কোলাসিব ও অসমের কাছার জেলা।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সােনােয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরকে গােটা বিষয়টি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গে। অসম সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে- কীভাবে দু’রাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক ভালাে রাখা যায় তা নিয়ে আলােচনা হয়েছে সর্বানন্দ সােনােয়াল ও জোরাম থাঙ্গার মধ্যে। 

জোরামথাঙ্গাও অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যাতে শান্তি বজায় রাখা যায় সে বিষয়ে মিজোরামও কড়া নজর রাখবে। তবে শুধু অসমই নয়, মিজোরাম সরকারের তরফেও যােগাযােগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে। 

সরকারের তরফে জানানাে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা এ ব্যাপারে বিশেষ বৈঠকে বসছে এবং গােটা ঘটনার জন্য দায়ী অসমের সীমালঙ্ঘনের চেষ্ট। 

আজ দুই রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসম ও মিজোরামের মুখ্যসচিবরা। এই তথ্য জানিয়েছেন, মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালচামলিয়ানা। 

সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে দুই রাজ্যই ব্যাপক সংখ্যায় পুলিশ মােতায়েন করেছেন। হিংসা-বিধ্বস্ত মিজোরামের ভেরেং-তে এবং অসমের লায়লাপুরে। এই হিংসার কারণে ভেরেং-এ আটকে পড়েছে কয়েকশাে ট্রাক। এই ট্রাকগুলিতেই নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিস পৌছয় মিজোরামে।

শনিবার দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসা তৈরি হয় একটি কোভিড ১৯ টেস্টিং সেন্টার বসানােকে কেন্দ্র করে। মিজোরামে ঢােকার আগে ট্রাকচালকদের কোভিড পরীক্ষা করানাের জন্য এই অস্থায়ী কেন্দ্রটি তৈরি করেছিল মিজোরাম সরকার। কিন্তু অসমের দাবি, সেই কেন্দ্র তৈরি হচ্ছিল অসমের জমিতে। এই নিয়ে বচসা সঙ্ঘর্ষের আকার নেয়। অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী করিমগঞ্জ জেলাতেও।