• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দিল্লি বিস্ফোরণের যোগ সন্দেহে গ্রেপ্তার আরও এক চিকিৎসক

জম্মু-কাশ্মীরের করণ সিং নগর থেকে চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। চিকিৎসকের নাম তাজামুল আহমেদ মালিক

দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক চিকিৎসক। বুধবার সকাল থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। জম্মু-কাশ্মীরের করণ সিং নগর থেকে চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। চিকিৎসকের নাম তাজামুল আহমেদ মালিক। শ্রীনগরের এসএইচএমএস হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। কুলগামের বাসিন্দা এই চিকিৎসককে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল টিম গ্রেপ্তার করেছে। তাঁকে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে ইতিমধ্যে একাধিক চিকিৎসকের নাম সামনে এসেছে। আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন চিকিৎসককে। ধৃতদের জেরা করেই তাজামুলের নাম হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

তাজামুল মালিকের গ্রেপ্তারের ফলে এই তদন্তের নতুন দিকে খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কুলগাম থেকে এমবিবিএসে গ্র্যাজুয়েট করেন তাজামুল। শ্রীনগরের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমডি হন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেহ করা হচ্ছে যে তিনি একটি ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যা জইশ-ই-মহম্মদের মতো টেরর গ্রুপকে আর্থিক সহায়তা করতেন। এছাড়া তাজামুল রেকি মিশনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। লাল কেল্লার আশেপাশে একাধিকবার স্ক্যানিং করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাজামুলের ফোন এবং ডিজিটাল রেকর্ড পরীক্ষা চলছে। যাতে টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগের সূত্র বেরিয়ে আসে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন সেল এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল যৌথভাবে তাজামুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

Advertisement

দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই উঠে এসেছে হুন্ডাই আই ২০ গাড়িটির গতিবিধি। বিস্ফোরণের আগে গাড়িটির সম্পূর্ণ লোকেশন খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসেই রাখা ছিল ওই গাড়িটি। গত ২৯ অক্টোবর থেকে প্রায় ১০ নভেম্বর পর্যন্ত তা রাখা ছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গাড়িটির পাশেই রাখা ছিল ধৃত আরও এক চিকিৎসক মুজাম্মিল  আহমেদের গাড়িও। দু’টি গাড়ি কেন পাশাপাশি রাখা ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই কি ঘাতক গাড়িটিতে বিস্ফোরক বোঝাই করা হয়েছিল,  তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, লালকেল্লায় বিস্ফোরণের আগে দিল্লির একাধিক ব্যস্ততম এলাকায় গাড়িটিকে দেখা গেছে বলে খবর।  ঘটনার দিন সকাল ৭টায় হরিয়ানার ফরিদাবাদের এশিয়ান হাসপাতালের সামনে ঘাতক গাড়িটিকে দেখা গিয়েছিল।  সকালে ৮টা ৩০ মিনিটে বদরপুর টোল বুথ পেরিয়ে দিল্লিতে ঢোকে গাড়িটি। একটি পেট্রল পাম্পে থাকা সিসি ক্যামেরায় গাড়িটিকে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দিল্লির ওখলা এলাকায় মোদী মিলের সামনেও দেখা যায়।  সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়ির চালকের আসনে উমর নবি ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। পেশায় তিনিও একজন চিকিৎসক। দিল্লি বিস্ফোরণের অন্যতম মাথা বলে মনে করা হচ্ছে তাঁকে। সূত্রের খবর, দিল্লির অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা কনট প্লেস এবং ময়ূর বিহারেও গাড়িটিকে দেখা গিয়েছিল। দিল্লির এই সব জনবহুল এলাকায় কি বিস্ফোরণের ছক ছিল, তা  খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement