এএন-৩২ বিমান দুর্ঘটনা: ৬ জনের মৃত দেহ ও ৭ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করল ভারতীয় বায়ুসেনা

৬ জনের মৃত দেহ ও ৭ জনের দেহাবশেষ অরুণাচল প্রদেশের দুরগম অঞ্চল থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় বায়ুসেনা এএন-৩২ বিমান দুর্ঘটনা স্থল থেকে।

Written by SNS New Delhi | June 20, 2019 4:18 pm

ভারতীয় বায়ুসেনার নিখোঁজ এএন-৩২ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হল অরুণাচল প্রদেশের উত্তর লিপোরের ১৬ কিলােমিটার দূরে (Photo: IANS)

৬ জনের মৃত দেহ ও ৭ জনের দেহাবশেষ অরুণাচল প্রদেশের দুরগম অঞ্চল থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় বায়ুসেনা এএন-৩২ বিমান দুর্ঘটনা স্থল থেকে।

সোভিয়েত যুগের এএন-৩২ বিমানের ধ্বংসাবশেষ ১১ জুন খুঁজে পায় উদ্ধারকারী দল, নিরূদ্দেশ হওয়ার আট দিন পরে। ১৩ জন অফিসারকে নিয়ে এএন-৩২ বিমান ৩ জুন অসমের জোরহাট বিমানঘাঁটি থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেনচুকা অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের উদ্দেশে রওনা হয়।

ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার দু’দিন পর, ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়ে দেয় দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই। ভারতীয় বায়ুসেনা তাঁদের ১৩ জন শহীদ যোদ্ধার নাম প্রকাশ করেছিলেন।

লিপোর কাছে দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর ও মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয় ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর থেকেই।

এএন-৩২ বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

আট সদস্যের উদ্ধারকারী দল ১১ জুন এএন-৩২ বিমানের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

গরুড় কমান্ডো, অসামরিক কুলি ও পর্বতারোহীদের নিয়ে উদ্ধারকাজ অনেক দিন বন্ধ ছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণে।

১১ জুন অ্যানটভ এএন-৩২ বিমানের ধ্বংসাবশেষ প্রথম নজরে আসে উদ্ধারকারী এমআই-১৭ হেলিকপ্টারের- দুর্ঘটনার আট দিন পর- লিপো থেকে ১৬ কিমি উত্তরে, ১২০০০ ফুট উচ্চতায়।

১২:২৫ মিনিটে অসম বিমানঘাঁটি থেকে বিমান ওড়ার পর ১ টা নাগাদ বিমানের সঙ্গে শেষ সম্পর্ক হয়।

যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, বিশেষ সেন্সর লাগানো বিমান, উপগ্রহ এমনকি পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থা সকলেই নিখোঁজ বিমানের খোঁজে লেগে পড়েছিল।

উল্লেখ্য, জুলাই ২০১৬-তে ভারতীয় বায়ুসেনার এএন-৩২ বিমান ২৯ জনকে নিয়ে চেন্নাইয়ের তাম্বারাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের ওপর নিখোঁজ হয়ে যায়।

সমুদ্রে নিখোঁজ হওয়া কোনও বিমানের অনুসন্ধানে ভারত সব থেকে বড় অনুসন্ধান কাজ করে যাতে বঙ্গোপসাগরের ২,১৭,৮০০ বর্গ নটিক্যাল মাইলে স্ক্যানিং করে ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর বিমান ও যাহাজ। যদিও বিমানটিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

অনেক মাস তল্লাশি চালানোর পরে, উদ্ধারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তৎকালীন লোকসভাকে জানানো হয় নিখোঁজ বিমানের কেউ বেঁচে নেই।