• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

লোকসভায় অমিত শাহের বিল পেশ, বিরোধীদের তীব্র হট্টগোল

বিল পেশ হতেই বিরোধী শিবির তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও তৃণমূলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সংসদের বাদল অধিবেশনের ২০তম দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে— সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধন) বিল এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৫

বিল পেশ হতেই বিরোধী শিবির তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও তৃণমূলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন। এমনকি কংগ্রেস সাংসদ কে.সি. বেণুগোপাল ও এসপি সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব বিলের কপি ছিঁড়ে গৃহমন্ত্রীর দিকে ছুঁড়ে দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির বক্তব্য, “সরকার দেশকে পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে। নির্বাচিত সরকারের উপর সরাসরি আক্রমণ চালানো হচ্ছে।” কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, “এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়। আলোচনার সুযোগ না দিয়ে বিল আনা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।”

Advertisement

বিরোধীদের দাবি, এই সংশোধনী সংবিধানবিরোধী। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, “এটি একটি সংবেদনশীল আইন। আলোচনা ছাড়াই পাস করা হলে রাজনৈতিক অপব্যবহার হবে।” সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদবের বক্তব্য, “তিনটি বিলই ন্যায়বিরোধী।”

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলতে থাকেন। সরকার পক্ষ অভিযোগ করেছে, ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে। তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ সাংবাদিকদের দেখান, তাঁর হাতে আঁচড়ের দাগ রয়েছে।

সরকারি শিবিরের একাধিক সাংসদ, যেমন রবনীত বিট্টু, কিরণ রিজিজু ও শতীশ গৌতম গৃহমন্ত্রীর চারপাশে ঘিরে থাকেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে অমিত শাহ নিজেই দলের সাংসদদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে তিনি ঘোষণা করেন, “বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী বিল নির্বাচিত কমিটিতে পাঠানো হবে।”

অন্যদিকে হট্টগোলের মধ্যে অমিত শাহ জানান, বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী বিল নির্বাচিত কমিটিতে পাঠানো হবে। তবে তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন লোকসভার স্পিকার।

Advertisement