২০২০ সালে গালওয়ান সংঘাতের পর প্রথমবার চিন সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগদান করতে চলতি মাসের শেষের দিকে তাঁর চিনে যাওয়ার কথা আছে। কিংডাও শহরে এই বৈঠকটি হবে। চিনের পক্ষ থেকে রাজনাথকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন রাজনাথ।
এসসিও ১০টি দেশকে নিয়ে গঠিত। সেগুলি হল রাশিয়া, কাজাখস্তান, চিন, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান, বেলারুশ, পাকিস্তান ও ভারত। এই অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বর্তমানে এসসিও–র সভাপতিত্ব চিনের হাতের রয়েছে। তাই সেখানেই এই বৈঠকটি আয়োজিত হবে। রাজনাথ সিং এই সফরে গেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার তিনি চিনে পা রাখতে চলেছেন। পাশাপাশি গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথম কোনও ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন সফরে যাবেন। এসসিও–র এই বৈঠকে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফও যোগ দিতে পারেন।
Advertisement
এসসিও–র বৈঠক শেষে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন রাজনাথ সিং। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর চিন সফরের চূড়ান্ত নির্ঘণ্ট তৈরি হয়নি। শেষবার চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে লাওসে অনুষ্ঠিত এডিএমএম-প্লাস সম্মেলনে দেখা হয়েছিল রাজনাথের। তারপর এই প্রথম তাঁরা দুই জন সাক্ষাৎ করতে পারেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, গালওয়ানের সংঘর্ষকে পিছনে ফেলে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার দিকে নজর দিয়েছে ভারত ও চিন। সেই পথেই আরও একধাপ এগোতে চলেছে ভারত। এই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া বরফ আরও খানিকটা কমবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় বললেই চলে। সম্প্রতি পহেলগাম কাণ্ডের পরও পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে চিন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চিন সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Advertisement



