• facebook
  • twitter
Tuesday, 15 July, 2025

সন্দেহের বশে পার্বতী বাউলকে ঢুকতে দিল না আমেরিকা

বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় পার্বতীকে। শিল্পীর দাবি, তাঁর কাছে অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বৈধ ভিসা ছিল। এমনকি কোনও নথিতেই কোনও অসঙ্গতি ছিল না।

ফাইল চিত্র

বিগত ২৫ বছর ধরে বাউল গান নিয়ে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্বতী বাউল। বাউল গানকে প্রাণে ধরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। গোটা বিশ্বে তিনি সমাদৃত। গান গাওয়ার আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও পার্বতী বাউলকে ঢুকতে দিল না আমেরিকা। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোয় অনুষ্ঠান করার কথা ছিল পার্বতী বাউলের। সে দেশের সঙ্গীতশিল্পী জর্জ ব্রুকসের তরফে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেই যুগলবন্দি ছিল পার্বতী বাউলের কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ১৮ মে সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় পার্বতীকে। শিল্পীর দাবি, তাঁর কাছে অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বৈধ ভিসা ছিল। এমনকি কোনও নথিতেই কোনও অসঙ্গতি ছিল না।

পার্বতী বাউল জানান, ‘শুধু মাত্র সন্দেহের বশেই আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আগামী পাঁচ বছর যাতে আর ও দেশে যেতে না পারি, সেই সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিত্তিহীন কারণে আমাদের অনুষ্ঠান বাতিল করতে হল। যে আধিকারিক সীমান্তে অভিবাসন সংক্রান্ত কাজ দেখছিলেন, তাঁর সন্দেহ হয়, আমি আমেরিকায় থেকে যেতে পারি জীবিকার কারণে। শুধুমাত্র এই সন্দেহের বশেই আমাকে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করে প্রশাসন। এই সন্দেহ একটা বড় অস্ত্র।’ গানের কারণে একাধিক দেশে গিয়েছেন তিনি। তাঁর পাসপোর্টের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে তিনি কী ভাবে সারা বিশ্ব ঘোরেন। কিন্তু কোথাও আইন ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ ওঠেনি তাঁর বিরুদ্ধে।

এর আগে বহু বার তিনি আমেরিকায় অনুষ্ঠান করেছেন পার্বতী বাউল। কোনও বার কোনও অসুবিধা হয়নি। এমনকি, এ বারও যখন তাঁকে ফিরে আসতে হল, তিনি যোগাযোগ করেছিলেন আমেরিকার এক অ্যাটর্নির সঙ্গে। তিনিও সাফ জানিয়েছেন, কাগজপত্র সংক্রান্ত কোনও বিচ্যুতি পার্বতীর ক্ষেত্রে ছিল না। এর পর কি ফের তিনি আমেরিকা যাবেন? এ প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই পার্বতীর কাছে। গানের টানে যেতে হতেই পারে কখনও। সে ক্ষেত্রে আইনি পথে আবার আবেদন করতে হবে, জানালেন তিনি। তবে এখনই এ সব বিষয় নিয়ে ভাবছেন না। বাতিল অনুষ্ঠানে আর্থিক ক্ষতির থেকেও তিনি বেশি চিন্তিত বিশ্বের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বলেন, ‘পরিচিত একজনের যদি এমন হয়, তা হলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা!’