• facebook
  • twitter
Monday, 14 July, 2025

রাহুল গান্ধীর দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কড়া অবস্থান এলাহাবাদ হাইকোর্টের

আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রকে

ফাইল চিত্র

বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ। বিজেপি নেতার দায়ের করা এই মামলায় হাইকোর্টের তরফে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাহুলের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানাতে হবে আদালতকে। আগামী ৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দ্বৈত নাগরিকত্ব বিতর্কে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ বার সেই সময়সীমা আরও ১০ দিন বাড়াল আদালত। বিজেপি নেতা ভিগ্নেশ শিশির এলাহাবাদ হাইকোর্টে দাবি করেন, রাহুল গান্ধী যে শুধু ভারতের নাগরিক নন, তার যথেষ্ট প্রমাণ তাঁর হাতে রয়েছে। ওই বিজেপি নেতা আদালতে দাবি করেন, রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে তথ্য জানতে তিনি ব্রিটেনের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিছু তথ্য তাঁরা দিয়েছেন। তবে সব তথ্য গোপনীয়তার খাতিরে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রেরও উচিত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ভারতীয়ের দ্বৈত নাগরিকত্ব আইনত অপরাধ।
 
বিজেপি নেতার এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ববর্তী শুনানিতে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল এসবি পান্ডে আদালতকে জানিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ব্রিটেনের সরকারকে চিঠি দিয়েছে। ফলে এই ইস্যুতে বিস্তারিত জানতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। এরপর আদালতের কাছে ৯ সপ্তাহের সময় চায় কেন্দ্র। তবে এত সময় দিতে রাজি হয়নি আদালত। ২১ এপ্রিল এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি আদালতকে। যার জেরে সোমবার বিচারপতি এ আর মাসুদি ও বিচারপতি রাজীব সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়। কড়া সুরে জানিয়ে দেওয়া হয়, আদালত কেন্দ্রকে ১০ দিন সময় দিচ্ছে। তার মধ্যে রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রকে জমা দিতে হবে।
 
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে এই একই অভিযোগে মামলা করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর তরফে দাবি করা হয়েছিল, ব্রিটিশ সংস্থা ব্যাকপ্‌স লিমিটেডের মাধ্যমে ২০০৫-২০০৬ সালে রাহুলের দাখিল করা বার্ষিক রিটার্ন সংক্রান্ত নথিগুলি তাঁর ব্রিটেনের নাগরিকত্বের প্রমাণ। এছাড়া ইংল্যান্ডে রাহুলের নামে থাকা একটি কোম্পানির ঘোষণাপত্রে, নিজেকে ইংল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
 
রাহুলের ব্রিটেনের নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তাঁর মনোনয়ন খারিজের দাবিও একাধিকবার উঠেছে। এর আগে  বিজেপি নেতারা একাধিকবার রাহুল গান্ধীকে বিদেশের নাগরিক হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও কেন্দ্র তেমনভাবে সাড়া করেনি। প্রতিবারই রাহুলের নাগরিকত্বের ইস্যু এড়িয়ে গিয়েছে মোদী সরকার। এখন কেন্দ্র কি অবস্থান নেয় সেদিকেই তাকিয়ে উতসুক মহল। ।