দেশজুড়ে আচমকা রান্নার গ্যাসের সংকট। সপ্তাহখানেক আগে পর্যন্তও গ্যাস বুক করার পরদিনই আপনার বাড়িতে সিলিন্ডার নিয়ে হাজির হয়ে যেতেন ডেলিভারি বয়রা। সেখানে এখন গ্যাস বুক করার পর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সিলিন্ডার মিলছে না।
আর এর জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। তাদের বক্তব্য, আচমকা এভাবে গ্যাসের ডেলিভারি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন তারা। বাধ্য হয়ে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ইনডাকশন কিনতে।
Advertisement
এইচপি, ইন্ডেন, ভারত পেট্রোলিয়ামের মত রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলির নির্দেশ আছে, কোনও পরিস্থিতিতেই গ্যাসের ডেলিভারিতে দেরি করা চলবে না। সমস্যায় ফেলা যাবে না গৃহস্থকে। কিন্ত যোগান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটররা কিছু করতে পারছেন না।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েলের ৬টি নিজস্ব বটলিং প্ল্যান্ট রয়েছে। কিন্তু সেগুলির সবকটিতে ঠিকঠাক কাজ চলছে না। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের হরেক দাবিদাওয়াকে কেন্দ্র করে থমকে থাকছে কাজ। এর ফলে গাড়িতে সিলিন্ডার লোডিংও কম হচ্ছে।
এর ফলে রাজ্যজুড়ে সরবরাহ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে ঠিকঠাক ভাবে সিলিন্ডার না পৌঁছনোর কারণেই ডেলিভারি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে খবর। তবে ঠিক কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলতে পারছে না তেল সংস্থাগুলি।
অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজনবিহারী বিশ্বাস জানান, ইন্ডিয়ান অয়েলের বিভিন্ন প্ল্যান্টে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে কারখানাগুলিতে কাজের গতি কিছুটা কম থাকছে। সেই কারণেই ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেক সময় ৭ দিনের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।
ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এইচপি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, কলকাতা ও পানাগড় – বাংলার দু’টি কারখানা থেকে গ্যাস রিফিলিং হয়। সেখানে গ্যাসের জোগানে ঘাটতিই এর অন্যতম কারণ। সেই কারণেই গ্যাস ডেলিভারি হতে সময় লাগছে।
Advertisement



