চলতি বছরের এপ্রিলে পহেলগাম হামলা চালায় পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। নিহত হন স্থানীয় এক যুবক-সহ ২৫ জন পর্যটক। পহেলগামের প্রত্যাঘাত হিসেবে ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। বাহওয়ালপুর, মুরিদকে-সহ নয়টি জায়গায় লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার জন্য চলে নিখুঁত অপারেশন।
ভারতীয় সেনা এই অপারেশনে অগ্রণী ভূমিকা নেয়। অপারেশন সিঁদুরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫ জন জওয়ানকে ‘বীর চক্র’ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ওই জওয়ানদের কৃতিত্বের কথা বিস্তারিত ভাবে বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
কর্নেল কোশাঙ্ক লাম্বা ৩০২ মিডিয়াম রেজিমেন্টের সদস্য। এই অপারেশনে প্রথমবারের জন্য ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স ‘স্পেশালাইজড ইকুইপমেন্ট ব্যাটারি’ ব্যবহার করে। অল্প সময়ের নোটিসে এই কাজে দক্ষতা দেখিয়েছেন কর্নেল কোশাঙ্ক লাম্বা। কমান্ডিং অফিসার হিসেবে এই মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কর্নেল সুশীল বিশট। তাঁর নেতৃত্বাধীন ইউনিট অসাধারণ সাফল্যের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়।
Advertisement
অপারেশন সিঁদুরে পূর্ব নির্ধারিত টার্গেটে নির্ভুল আঘাত করেছে ভারতের বিমানবাহিনী। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রনকে নেতৃত্ব দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন রঞ্জিত সিং সিধু। সারফেস টু এয়ার মিসাইল স্কোয়াড্রনের গ্রুপ ক্যাপ্টেন ছিলেন অনিমেষ পাটনি। তাঁর পরিচালনায় সফল ভাবে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির ঘাঁটি ধ্বংস হয়। রাতের অন্ধকারে কোন পথে সেনাবাহিনী এগোবে, আক্রমণের কৌশল কেমন হবে, বিপক্ষের রেডার এড়িয়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ-সহ নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে ডেপুটি মিশন লিডার হিসেবে কাজ করেছিলেন রিজওয়ান মালিক।
স্কোয়াড্রন লিডার সিদ্ধান্ত সিং ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের পাইলট। পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের জন্যে তিনটি করে এয়ারক্রাফটের একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। সমন্বয় বজায় রেখে কৌশলগত আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন স্কোয়াড্রন লিডার সিদ্ধান্ত সিং। যুদ্ধক্ষেত্রে সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্যে ‘বীর চক্র’ সম্মান প্রদান করা হয়। সামরিক সম্মানের মধ্যে ‘পরমবীর চক্র’ ও ‘মহাবীর’ চক্রের পরেই রয়েছে ‘বীর চক্র’ সম্মান।
Advertisement



