বিয়েবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার ঘটনা। ব্রহ্মপুরের পুলিশ সুপার শ্রবণ বিবেক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই দুই কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। ৬ জুন দুই নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। আপাতত তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ৩ জুন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গঞ্জামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই দুই কিশোরী। আচমকা ওই দু’জন উধাও হয়ে যায়। অভিযোগ, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দুই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। পরিবারের তরফে আশপাশের এলাকায় খোঁজ চালানো হয়। কিন্তু সারারাত ধরে খুঁজেও দুই কিশোরীর খোঁজ মেলেনি। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই কিশোরীকে তাদেরই এক পরিচিত ডেকে নিয়ে যান। কথার ফাঁদে ভুলিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। আগে থেকেই সেখানে ছিলেন আরও তিন যুবক। অভিযোগ, চার যুবক মিলে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এরপর অভিযুক্তরা নির্যাতিতাদের ওই বিয়েবাড়ির কাছে ফেলে চলে যান।
৪ জুন সকালে বিয়েবাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দুই কিশোরীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারপরই চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীদের পরিবার। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্যাতিতাদের বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। পুলিশের কয়েকটি দল গঠন করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। অন্ধ্রপ্রদেশে পালানোর আগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
