ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জন্য হরিয়ানার ১৯২ জন কৃষকের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। সরকারি সূত্রে খবর, পুলিশ কৃষকদের বিরুদ্ধে ৩৩৪টি চালান দায়ের করেছে এবং ৮.৪৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়াও, কৃষকদের রেকর্ডে ৪১৮টি ‘রেড এন্ট্রি’-ও করা হয়েছে।
এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগের বছরে ধানের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনার ভিত্তিতে সরকার থেকে গ্রামগুলোকে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। রেড এবং ইয়েলো জোনে পঞ্চায়েতগুলো ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনা কমানোর জন্য সরকার থেকে ইনসেন্টিভ পাবে। ‘জিরো-বার্নিং টার্গেট’-এ সফল হলে রেড জোনের পঞ্চায়েতগুলো পাবে ১ লক্ষ টাকা করে ইনসেন্টিভ, আর ইয়েলো জোনের পঞ্চায়েতগুলো ৫০,০০০ টাকা করে পাবে।
Advertisement
ওই মুখপাত্র আরও জানান, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির নির্দেশানুসারে একটা রাজ্যস্তরের প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে কৃষকদের ফসলের অবশিষ্টাংশের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় এবং পঞ্চায়েতগুলোকে ‘জিরো বার্নিং টার্গেট’ দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, এই বছর মাত্র ৭১৩টি ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে – যা গতবারের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম।
Advertisement
তাঁর বক্তব্য, সরকার থেকে গ্রামস্তরে কৃষকদের মধ্যে ফসলের অবশিষ্টাংশ না পোড়ানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার থেকে ভর্তুকিকৃত দরে ফসল ব্যবস্থাপনার সরঞ্জামের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একরপিছু ১,০০০ টাকা করে কৃষকদের ইনসেন্টিভ দেওয়া হচ্ছে ধানের ফসলের অবশিষ্টাংশের ব্যবস্থাপনার জন্য। এছাড়াও, ‘মেরা পানি – মেরি ভিরাসাত’ প্রকল্পে প্রতি একরে ৭,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে ধানের পরিবর্তে বিকল্প ফসল চাষের জন্য।
Advertisement



