রাজস্থানের কোটায় ফের আত্মঘাতী হলেন এক পড়ুয়া। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র আগের রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নিট পরীক্ষারই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। রবিবার নিট দিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই শনিবার রাতে মেসবাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই তরুণী। যদিও তাঁর ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। ১৮ বছর বয়সি ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের শেওপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পরিবারের লোকজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে কোটায় ছিলেন ওই তরুণী। বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন সেখানে। ঘটনার সময় তরুণীর বাবা-মা বাড়িতেই ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা রাজস্থানের কোটায় যান। সেখানে থেকে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাঁরা। যদিও মাঝেমধ্যেই কোটা থেকে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার খবর সামনে আসে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত বছরে কোটায় ১৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল।
একের পর এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসনও। আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানগুলিকে কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি বিশেষ যন্ত্র বসানোরও নির্দেশ দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। বস্তুত, এই যন্ত্রগুলি হল একটি মোটা স্প্রিং-জাতীয় যন্ত্র, যেটি ফ্যানের সঙ্গে যুক্ত করা থাকত। এর ফলে ফ্যানের ঝুলে মৃত্যু আটকানো গেলেও সার্বিকভাবে আত্মহত্যা কমানো যায়নি।