ফের দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যোগীরাজ্যে। এর আগে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর বারাণসীর মাটিতে দাঁড়িয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জানিয়েছিলেন, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। কিন্তু তারপরেও যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে একের পর এক ঘটে চলেছে ধর্ষণের ঘটনা। কাসগঞ্জ, রামপুরের পর হাপুরেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অন্য গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এর পরই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের জেরে অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ১৭ এপ্রিল। চতুর্থ শ্রেণির নাবালিকা তখন বাড়িতে একা ছিল। তাঁর বাবা-মা ক্ষেতে চাষের কাজ করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পাশের গ্রামের এক যুবক তাদের বাড়িতে আসে। ওই পড়ুয়াকে ভুল বুঝিয়ে একটি পরিত্যক্ত কারখানায় নিয়ে যায়।সেখানে ওই নাবালিকাকে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাওয়ায় যুবকটি। অভিযোগ, এর পর তাকে ধর্ষণ করা হয়।
Advertisement
এদিকে নাবালিকাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করেন তাঁর বাবা-মা।তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। গ্রামবাসীরাও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর এলাকার মানুষই পরিত্যক্ত কারখানাটি থেকে নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন। নাবালিকার পাশেই মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক।
Advertisement
এদিকে পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীরা ওই যুবককে ব্যাপক মারধর করেন। এর পর ওই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় অভিযুক্ত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের কাকা গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীর পর উত্তরপ্রদেশের রামপুরে ১১ বছরের এক মূক ও বধির দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ এবং নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। সেই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।এমনকি সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়। এমন যৌন নির্যাতনের ঘটনা আগে দেখেননি বলেও জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
গত ৪ এপ্রিল বারাণসীতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারমধ্যেই ফের উত্তরপ্রদেশ ধর্ষণের ঘটনায় যোগী রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
Advertisement



