কৃষক বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত্যু হল আন্দোলনরত ১ কৃষকের

Written by SNS February 16, 2024 7:49 pm
চণ্ডীগড়, ১৬ ফেব্রুয়ারি – কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই মৃত্যু হল আন্দোলনরত এক কৃষকের। পাঞ্জাব-হরিয়ানা শম্ভু সীমানায় চলতে থাকা কৃষক  আন্দোলন চলাকালীন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৬৩ বছরের জ্ঞান সিং। কৃষকরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় কৃষক আন্দোলনের শরিক ওই প্রবীণ কৃষকের। প্রয়াত কৃষকের মরদেহ শেষবার আনা হবে শম্ভু সীমানায়। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন কৃষকরা।
 
যে কৃষকরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁদের দাবি, দুই দিন আগে পুলিশ আন্দোলনের মাঝে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্যের অবনতি হয়, এবং শুক্রবার ভোরের দিকে মারা যান। কৃষক জ্ঞান সিং-এর মৃত্যু প্রসঙ্গে কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, ‘এই আন্দোলনের কারণ কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা ওষুধ পেতেও সমস্যায় পড়ছি।

পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বাসিন্দা ছিলেন জ্ঞান সিং। ভাগ্নেদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। দেড় একর জমিতে চাষাবাদ করতেন। অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান সিংকে ভোর ৪টায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তাকে পাতিয়ালার সরকারি রাজীন্দ্র হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে জরুরি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।  ভর্তির করার দেড় ঘণ্টার মাথায় মৃত্যু হয় তাঁর।
 
হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাঁর অবস্থা খুবই সংকটজনক ছিল। সকাল ৬টায় তাঁর মৃত্যু হয়। পাতিয়ালার জেলা প্রশাসক শওকত আহমেদ পারেও কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেডিকেল রেকর্ড অনুযায়ী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। জ্ঞান সিং কিষাণ মজদুর সংগ্রাম সমিতির সদস্য ছিলেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কৃষক আন্দোলন। পাঞ্জাব থেকে ট্র্যাক্টর র‌্যালি করে কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু শম্ভু সীমানায় তাঁদের আটকে দিয়েছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে গত তিন দিন ধরে। কৃষকেরা ব্যারিকেড ভেঙে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে কৃষকদের সেই ভিড় ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেও বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন কৃষকেরা। ১৩ মাস ধরে চলা সেই আন্দোলনেও বহু কৃষকের মৃত্যু হয়।  দ্বিতীয় দফার এই কৃষক আন্দোলনে এই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।