• facebook
  • twitter
Sunday, 3 August, 2025

‘ভারতের শীর্ষ ১% মানুষের হাতে রয়েছে দেশের মোট ৪০.১% সম্পদ’

ভারতে ক্রমশই বাড়ছে ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিটিশ শাসনে দেশের যা পরিস্থিতি ছিল, এখন তার থেকেও পরিস্থিতি খারাপ।

ভারতে ক্রমশই বাড়ছে ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিটিশ শাসনে দেশের যা পরিস্থিতি ছিল, এখন তার থেকেও পরিস্থিতি খারাপ। লিঙ্কডইনে দেওয়া এক পোস্টে বিশেষজ্ঞ হার্দিক জোশি বলেছেন, ‘ভারতে বর্তমানে আয় ও সম্পদের বৈষম্য ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে।’

জোশি লিখেছেন, ‘ভারতের শীর্ষে থাকা ১ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে দেশের মোট ৪০.১ শতাংশ সম্পদ। অন্যদিকে, দেশের ৫০% মানুষের হাতে রয়েছে মাত্র ৬.৪ শতাংশ সম্পদ। আর শীর্ষে থাকা ১০ শতাংশ মানুষ দেশের মোট আয়ের ৫৭.৭ শতাংশ আয় করে থাকেন।’ জোশি জানিয়েছেন, এই সংখ্যাগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়। এই রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, একদিকে দেশের অর্ধেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে নাভিঃশ্বাস উঠছে। অন্যদিকে সমাজের এলিট শ্রেণি বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

এই বৈষম্যের জন্য দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন জোশি। তাঁর বক্তব্য, এই ব্যবস্থাই ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে। কর কাঠামো ধনীদের সুবিধা দেয়। শ্রমিকদের কোনও সুরক্ষা নেই, কর্পোরেটের একচেটিয়া আধিপত্যে মিলিয়ে যাচ্ছ ছোট ব্যবসা। তিনি বলেন, রিয়েল এস্টেট আর শেয়ার বাজার থেকে যে মুনাফা হয় তা শুধু ধনীদের পকেটেই যায়। উপরন্তু, রাজনৈতিক চাঁদা এবং লবিংয়ের মধ্য দিয়ে ধনীরা নিশ্চিত করেন, যে কোনও সংস্কার তাঁদের স্বার্থে আঘাত না করে।

তাঁর মতে, অর্থনৈতিক বৈষম্য ধনীদের কোনও ক্ষতি করে না। ধনী মানুষেরই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। গরিবদের জন্য নীতি আনলে তাকে ‘ভিক্ষে’ বলে প্রচার করে থাকেন তাঁরা। জোশির পরামর্শ, ‘ধনীদের উপর উপযুক্ত হারে কর চাপানো, শ্রমিকদের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ এবং কর্পোরেট মনোপলি ভেঙে দিলে তবেই এর সংস্কার হবে।’