দিওয়ালি বোনাস পাননি। সেই রাগে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের ফতেহাবাদ টোল প্লাজার গেট খুলে দিলেন কর্মীরা। ফলে হাজার হাজার যানবাহন টোল-ফি না দিয়েই টোল প্লাজা পেরিয়ে যান। কর্মীদের এই নজিরবিহীন প্রতিবাদের কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা।
টোল প্লাজার প্রতিবাদী কর্মীদের অভিযোগ, পুজোয় কোনও বোনাস দেওয়া হয়নি। শুধু বোনাসই নয়, অনেক সময় কর্মীদের বেতনের টাকাও দেরিতে দেওয়া হয়। এক কর্মী বলেছেন, ‘কর্মীদের বদলে নতুনদের নিয়োগপত্র দেবে, কিন্তু বোনাস দেবে না।’ টোল প্লাজার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শ্রীসাই এবং দাতার কোম্পানির কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দীপাবলির আগের সপ্তাহে বোনাস তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা করা হয়নি।
বোনাস না পাওয়ায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ কর্মীরা ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিবাদী কর্মীরা ধর্মঘট ডাকেন। বহু কর্মী সেই ধর্মঘটে অংশ নেন এবং তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেন, যখন ধর্মঘট চলবে তখন টোল প্লাজা খুলে দেওয়া হবে। সেইমতো রবিবার রাতে টোল প্লাজার গেটের ব্যারিয়ার খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলে ধর্মঘট। ভিডিও ও স্থানীয় ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়িগুলি টোল বুথের সামনে এসে না দাঁড়িয়েই পার হয়ে যাচ্ছে। সেখানে ধর্মঘটী কর্মীরা ব্যারিয়ার খুলে বসে আছেন। এরপর আধিকারিকরা বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশের একটি প্রধান সড়ক। এটি আগ্রা ও লখনউয়ের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলেছে। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে দিল্লি এবং রাজধানী অঞ্চলের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করে এই সড়কপথ। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ধরে যাতায়াত করে হাজার হাজার গাড়ি। কর্মীদের এই ধর্মঘটের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে কেন এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, সেই বিষয়ে সংস্থার তরফে শেষ পাওয়া খবরে কোনও বিবৃতি মেলেনি।
Advertisement