• facebook
  • twitter
Monday, 15 December, 2025

সল্টলেকে পার্কিংয়ের নতুন ১৪টি স্থান, চালু হচ্ছে কড়া নিয়ম

এবার ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে শহরের মধ্যে নতুন করে ১৪টি পার্কিং জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি চালু হচ্ছে একাধিক নতুন নিয়ম।

সল্টলেকের রাস্তায় যানজট ও অপরিকল্পিত পার্কিংয়ের সমস্যা সামাল দিতে আরও সক্রিয় হল বিধাননগর পুরসভা। এবার ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন করে ১৪টি পার্কিং জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি চালু হচ্ছে একাধিক নতুন নিয়ম। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ১৪টি নির্দিষ্ট জায়গায় নির্ধারিত মূল্যে গাড়ি পার্ক করা যাবে। কিন্তু তার বাইরে, শহরের যে কোনও রাস্তার ধারে ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না। এমনকী কোনও শপিং মল বা স্কুলের সামনে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি রাখাও নিষিদ্ধ হবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ মিনিটের বেশি সময়ের জন্য গাড়ি রাখতে হলে নির্ধারিত পার্কিং জোনে স্থানান্তরিত করতেই হবে। প্রথম ঘণ্টার জন্য চারচাকা গাড়ির পার্কিং ফি নির্ধারিত হয়েছে ২০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি ঘণ্টায় দিতে হবে ১৫ টাকা করে। দু’চাকার গাড়ির জন্য প্রথম ঘণ্টায় ১০ টাকা এবং পরে প্রতি ঘণ্টায় ৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। বাস বা ট্রাকের মতো বড় গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথম ঘণ্টায় ৫০ টাকা এবং পরে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ টাকা করে দিতে হবে।

Advertisement

সল্টলেক ও আশপাশের অঞ্চলে ইতিমধ্যেই একাধিক ফি পার্কিং জোন চালু থাকলেও বহু ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছিল না। অনেক সময় গাড়িচালকেরা রাস্তার ধারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখছিলেন, যার ফলে ছোট রাস্তাগুলি প্রায় অচল হয়ে পড়ছিল। এই পরিস্থিতি বিচার করে গত বছর কলকাতা হাইকোর্ট বিধাননগর পুরসভাকে কড়া ভর্ৎসনা করে। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ও নির্ধারিত মূল্য ঘোষণা করতে হবে এবং সেগুলি নিয়মিতভাবে পরিচালনার জন্য নজরদারিও চালাতে হবে।

Advertisement

এই প্রেক্ষিতেই নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরসভা এবং ট্রাফিক পুলিশের যৌথ উদ্যোগে পার্কিং জোনগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ফুটপাত এবং রাস্তার ধারে অবৈধভাবে গাড়ি দাঁড় করানোর প্রবণতা রোধে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি রাস্তায় গাড়ি রাখলে জরিমানাও ধার্য করা হতে পারে। এই নতুন নিয়ম কার্যকর হলে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি হবে বলেই আশা করছেন পুর ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। পাশাপাশি, নাগরিকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যেন তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গাতেই গাড়ি পার্ক করেন এবং ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলেন।

Advertisement