আদিবাসী উন্নয়ন এবং স্বার্থরক্ষায় কোনো খামতি নয়। প্রত্যেক বিধায়ককে আদিবাসী এলাকায় গিয়ে আরও নিবিড়ভাবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। সোমবার নবান্নে আয়োজিত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাইবস অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এই কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘লক্ষ্য রাখতে হবে আদিবাসীদের নাম যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে। এনআরসি-র নোটিশ তাঁদের ধরানো হচ্ছে কিনা, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
এসটি নয়, এমন ব্যক্তিদের নাম এসটি তালিকায় থাকলে অবিলম্বে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে হবে।’ পাশাপাশি আদিবাসীদের জাতি শংসাপত্র প্রদান থেকে শুরু করে, পড়াশোনা ও হস্টেলের ব্যবস্থা, পাট্টা প্রদান, বয়স্ক পেনশনের ব্যবস্থা-সহ আদিবাসী সমাজের প্রকৃত উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হল এদিনের বৈঠকে। নবান্ন সূত্রের খবর, আদিবাসীদের জমি দখল নিয়েও এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে উপস্থিত ছিলেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
Advertisement
উল্লেখ্য, সৌজন্যের নজির গড়ে আদিবাসীদের উন্নয়নে রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদেরও বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দশরথ তিরকে। নবান্নে সূত্রে খবর, দু’জনকেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল নবান্নের তরফে। একইসঙ্গে ফোনেও তাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তবে তাঁরা সৌজন্যতা রক্ষা করেননি।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা আদিবাসীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এই কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। কলকাতা, জলদাপাড়া ও উত্তরকন্যায় এই কাউন্সিলের তিনটি বৈঠকেও হয়েছে। নবান্নে কাউন্সিলের চতুর্থ বৈঠক আয়োজিত হল। বিজেপি উপস্থিত না থাকলেও, বিরোধীদের আমন্ত্রণ সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশাসনিক মহল।
Advertisement



