মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৮ থেকে ৮০, সকলেই ফুসফুস সংক্রান্ত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফুসফুসের রোগগুলির মধ্যে অন্যতম – অ্যাজমা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যানসার, যক্ষ্মা এবং নিউমোনিয়া। সবকটি রোগই প্রতিরোধযোগ্য হলেও এই সমস্ত জটিলতার কারণে প্রাণহানিও ঘটছে। করোনা অতিমারির পর ফুসফুসে সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফুসফুস সুস্থ রাখতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। শ্বাসের ব্যায়াম আপনার ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত শরীরচর্চা করা যেতে পারে। যদিও বয়স, ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী শরীরচর্চার ধরন ঠিক করা উচিত। হেঁটে বা গণপরিবহনে যাতায়াত করা অভ্যাস করুন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। অ্যাজমা বা সিওপিডিতে আক্রান্ত এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে টিকা নেওয়া আবশ্যক।
গবেষণায় উঠে এসেছে, পৃথিবীর ২০০ মিলিয়ন মানুষ সিওপিডিতে আক্রান্ত, ২৬২ মিলিয়ন মানুষ ভুগছেন অ্যাজমায়। ফুসফুসের ক্যানসারে প্রতি বছর ২ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। নিউমোনিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর মারা যান।
ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ বেড়ে যাওয়া কারণেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপান ছাড়তে হবে। বাইরে গেলেই মাস্ক পরা বাঞ্ছনীয়। কাঠ, কয়লা, গোবর, পলিথিন, ময়লা ইত্যাদি পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন। অ্যাজমা বা সিওপিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কিছু ওষুধ খেলে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এসব এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বোপরি যাবতীয় মানসিক চাপ দূরে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি সুষম খাবার খেতেও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।