• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দ্বিগুন: গবেষণা

গবেষণা থেকে উঠে ওসেছে, থাইরয়েডের সামান্য সমস্যা কিংবা লুকিয়ে থাকা সমস্যা হার্টের সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দ্বিগুণ হতে পারে। একটি নতুন রিসার্চে এই তথ্য উঠে এসেছে। ডা. কান্নান এল এবং তাঁর সহকর্মীরা এই সংক্রান্ত গবেষণা করেছেন। তাঁদের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মার্কিন মেডিক্যাল জার্নাল সার্কুলেশন: হার্ট ফেলিওর-এ প্রকাশিত হয়েছে। মোট ১৩০০ জন রোগীর স্বাস্থ্য নিয়ে স্টাডি করেন তাঁরা।

এই গবেষণায় উঠে এসেছে, যাঁদের থাইরয়েডজনিত সমস্যা রয়েছে, বিশেষ করে মৃদু হাইপোথাইরয়েডিজম কিংবা থাইরয়েড হরমোন টি৩ কম রয়েছে, তাঁদের হার্টের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ, হার্টকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই থাইরয়েডের দিকে নজর দেওয়া উচিত। হার্টের ঠিকঠাকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে থাইরয়েডের বড় ভূমিকা রয়েছে। হৃদস্পন্দন থেকে শুরু করে কতটা দৃঢ়ভাবে হার্ট ব্লাড পাম্প করবে, সব কিছুই এর উপর নির্ভরশীল। থাইরয়েড হরমোন (টি৩, টি৪) কম থাকলে (হাইপোথাইরয়েডিজম) বা বেশি থাকলে (হাইপারথাইরয়েডিজম) হার্টের কাজ ব্যাহত হতে পারে। এর ফেলে হার্টের নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

Advertisement

গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সব সময়ই থাইরয়েডের দিকে নজর দেওয়া উচিত। নিয়মিত পরীক্ষা করে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত থাইরয়েডজনিত সমস্যার চিকিৎসা শুরু হলে, এর সঙ্গে সম্পর্কিত হার্টের সমস্যা আটকানো সম্ভব। সামান্য থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে, তা হার্টের রোগকে ত্বরান্বিত করে কি না, সেই নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

থাইরয়েডের সমস্যা যে হার্টের জন্য ক্ষতিকারক, তা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু গবেষণা থেকে উঠে ওসেছে, থাইরয়েডের সামান্য সমস্যা কিংবা লুকিয়ে থাকা সমস্যা হার্টের সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। কার্ডিও-ভাস্কুলার সমস্যা প্রতিহত করার জন্য থাইরয়েডের ওপর সবারই নজর দেওয়া উচিত। নিয়মিত চেকআপ, সময়মতো রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শুধুমাত্র থাইরয়েডকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, তা নয়, এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও অনেকটা কমবে।

হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, সব সময় ক্লান্তিবোধ, অনিয়মিত মাসিক বা দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মাসিকের মতো সমস্যা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া, চুল ও ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বারবার গর্ভপাত, বন্ধ্যাত্ব সহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়। হাইপারথাইরয়েডে হঠাৎ করেই ওজন কমা, কাঁপুনি, উদ্বেগ, অত্যধিক ঘাম ও ঋতুচক্রে কম রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েডে সমস্যার কারণে মাংসপেশির ক্ষয় বেড়ে যায়, সক্ষমতা কমে যায়। চোখ বড় হয়ে যেতে পারে।

Advertisement