বসন্ত এসে গেছে। দোল সদ্য সমাপ্ত, কিন্তু কিছুতেই যেন উৎসবের আমেজ কাটতে চাইছেনা। আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। আবহাওয়াতেও যেন কেমন অলসতার আমেজ। সময় -সুযোগ পেলেই উৎসবের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেওয়া। তাছাড়া এই মরশুমে শেষ্মিপাতে মিষ্টিমুখ না করলে খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। তাই উৎসব কাটলেও উৎসবের রেশ ধরে রাখতে রসনায় থাকছে মিষ্টির পদ।
ছানার পায়েস
উপকরণ – ছানা, দুধ, ঘি,গোলাপ জল, পেস্তাকুচি, আমণ্ডকুচি, চিনি, এলাচগুঁড়ো।
প্রণালি- প্রথমে ছানা সামান্য ঘি গরম করে ভেজে নিন। বেশি ভাজবেন না। ছানার রং-এর পরিবর্তন না হয়। এবার দুধ চিনি দিয়ে ঘন করে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে ছানা দিন। ভাল করে নাড়তে থাকুন।
পুরো মিশ্রণটা ঘন হয়ে এলে এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। এবার কিছুটা ঠান্ডা করে এতে সামান্য গোলাপজল, আমন্ডকুচি, পেস্তাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
লবঙ্গ লতিকা
উপকরণ- ময়দা, নারকেল কোরা, ক্ষীর,এলাচগুঁড়ো , খাওয়ার সোডা, লবঙ্গ, চিনি, বনস্পতি।
প্রণালি- ময়দা, বনস্পতি, খাওয়ার সোডা ভাল করে মিশিয়ে পরিমাণ মত জল দিয়ে মেখে নিন। এবার এর থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন। নারকেল, খোয়াক্ষীর,চিনি, বাদাম কোরা ভাল করে মিশিয়ে আঁচে বসান।পাক দিন।পাক হয়ে গেলে নামাবার আগে এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ময়দার লেচিগুলো বেলে নিয়ে তার মাঝে এই পুর দিন, এবার চারধার মুড়ে মাঝখানে লবঙ্গ দিয়ে গেঁথে দিন। এগুলো বনস্পতিতে ভেজে নিয়ে চিনির রসে ফেলুন। কিছুক্ষণ রসে রেখে তুলে নিন এবং পরিবেশন করুন।
ফল সহযোগে রসমালাই
উপকরণ- রসগোল্লা, দুধ, মিল্কমেড, এলাচগুঁড়ো, বেদানা, কলা,আপেল, কুচি, চিনি, পেস্তাকুচি, অল্প গোলাপজল।
প্রণালি- রসগোল্লার রস বার করে সেগুলো মাঝখান থেকে দু-আধখানা করে নিন। দুধে চিনি দিয়ে ফুটতে দিন। দুধ অল্প ঘন হয়ে এলে তাতে মিল্কমেড মেশান। নাড়তে থাকুন। ভাল ঘন হলে নামাবার আগে তাতে এলাচগুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এবার রসগোল্লা দুই ভাগে খুব ছোট ছোট করে কুছানো আপেল, কলা, বেদানাকুচি দিন। এই রসগোল্লাগুলো এবার মালাইয়ের পাত্রে বসান। ওপর থেকে পেস্তা কুচি এবং সামান্য গোলাপজল ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
বোঁদের লাড্ডু
উপকরণ- বেসন, চালেরগুঁড়ো, ক্ষীর,গোলাপজল, এলাচগুঁড়ো, কাজু, কিশমিশ, সাদা তেল, চিনি, লাল রং, ময়দা।
প্রণালি- চিনির সঙ্গে পাঁচ-ছ্য় কাপ জল দিয়ে ঘন রস তৈরি করুন। অন্যদিকে বেসন , ময়দা ও চালেরগুঁড়ো এক সঙ্গে ফেটিয়ে নিন। বেশ পাতলা গোলা তৈরি করুন। এবার কড়াইতে তেল গরম করুন। ঝাঁঝরা দিয়ে এই গোলা তুলে আস্তে আস্তে তেলে ছাড়ুন। ঝাঁঝরা দিয়ে পড়ার জন্য ছোট ছোট বোঁদের আকার নেবে। ভাজা সম্পূর্ণ হল এগুলি চিনির রসে ফেলুন। বেশ কয়েক ঘন্টা রসে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার এর মধ্যে এলাচগুঁড়ো কিশমিশ, সামান্য গোলাপজল, ক্ষীর দিয়ে ভাল করে মেখে হাতে করে লাড্ডুর আকার দিন। খানিকটা বোঁদের রং মিশিয়ে নেবেন মাখার সময়।