• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

১৮ মাস ধরে মৃত স্বামীকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ফেরানোর চেষ্টা স্ত্রীর, হতবাক পুলিশ

লখনউ, ২৪ সেপ্টেম্বর– মৃত্যু সত্য জেনেও মানতে চাইনা আমরা। বিশেষ করে আপনজনের মৃত্যু আমাদের কাছে যেন দুঃস্বপের মত। আপনজন চলে যাওয়ার পরও ভাবে থাকি ‘এই বুঝি এই দুঃস্বপ্ন ভেঙে যাবে’। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে ১৮ মাস ধরে মৃত ব্যক্তিকে ঘরে রেখে দেওয়ার ঘটনা সেই কথাই যেন সত্যি বলে প্রমান করল।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কানপুর শহরের বাসিন্দা বিমলেশ

লখনউ, ২৪ সেপ্টেম্বর– মৃত্যু সত্য জেনেও মানতে চাইনা আমরা। বিশেষ করে আপনজনের মৃত্যু আমাদের কাছে যেন দুঃস্বপের মত। আপনজন চলে যাওয়ার পরও ভাবে থাকি ‘এই বুঝি এই দুঃস্বপ্ন ভেঙে যাবে’। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে ১৮ মাস ধরে মৃত ব্যক্তিকে ঘরে রেখে দেওয়ার ঘটনা সেই কথাই যেন সত্যি বলে প্রমান করল। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কানপুর শহরের বাসিন্দা বিমলেশ দীক্ষিত আয়কর দপ্তরের কর্মী ছিলেন। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিমলেশ। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল একটি বেসরকারি নার্সিংহোম মৃত্যু হয় বিমলেশ দীক্ষিতের। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল ‘সাডেন কার্ডিয়াক রেসপিরেটরি সিনড্রম’ মৃত্যুর কারণ। কিন্তু স্বামীর চলে যাওয়া মানতে পারেননি স্ত্রী। একটা সময় যা মানসিক অসুস্থতায় পরিণত হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমলেশের মৃত্যু হলেও তাঁর শেষকৃত্য করেনি পরিবার। তাঁদের মনে হয়, অসুস্থ স্বজন কোমায় রয়েছেন। প্রতিদিন সকালে স্বামীর দেহে গঙ্গাজল ছেটাতেন স্ত্রী। তিনি মনে করতেন কোমায় চলে যাওয়া স্বামী গঙ্গাজলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন। এভাবেই ১৮ মাস বাড়িতে ছিল মৃতদেহ। সরকারি কর্মীর মৃত্যুর দীর্ঘদিন পরেও পরিবারের তরফে পেনশনের জন্য হেলদোল নেই দেখে সম্প্রতি ওই কর্মীর পরিবারের খবর নেন চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ অলোক রঞ্জন।

Advertisement

অলোক রঞ্জন বলেন, “কানপুর ইনকাম ট্যাক্স কর্মীরা আমাকে জানান ওই ব্যক্তির পরিবার পেনশন সংক্রান্ত কোনও তথ্য দাখিল করেনি। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেন।” এরপর শুক্রবার রাওয়াতপুরে বিমলেশের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। যদিও বাড়ির লোকেরা তখনও দাবি করেন, বিমলেশ কোমায় আছেন। তাঁদের অনেকক্ষণ ধরে বোঝানোর পর বিমলেশের দেহ লালা লাজপত রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জনান, বিমলেশ মৃতই। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারের সময় দেহ একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। 

Advertisement