• facebook
  • twitter
Friday, 13 December, 2024

রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

কলকাতা , ৯ মে – বাংলা সফরে এসে রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত নিয়ে  বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয় এবার রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত। এদিন ট্যুইটে শাহ-কে এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নাম না করে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও এই প্রসঙ্গটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান । প্রশ্ন হল অমিত

কলকাতা , ৯ মে – বাংলা সফরে এসে রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত নিয়ে  বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয় এবার রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত। এদিন ট্যুইটে শাহ-কে এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নাম না করে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও এই প্রসঙ্গটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান ।

প্রশ্ন হল অমিত শাহ কি বলেছিলেন  ?  শাহ-র বক্তব্যের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর দাবি, অমিত শাহ বলেছেন, পুরো বিশ্বে, কবি গুরু একমাত্র সেই ব্যক্তি, যাঁর দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত লেখার সম্মান প্রাপ্ত হয়েছে।’ আর এখানেই তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ।
মহুয়া মৈত্র ট্যুইটে বলেন, ‘দুঃখিত, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত কিন্তু ‘বন্দে মাতরম্’, লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, ‘আমার সোনার বাংলা’। রবিঠাকুর কিন্তু আপনাকে ‘যা-তা’ বলতেন। দয়া করে স্কুলে ফিরে যান। ট্যুইটে কটাক্ষ করে লেখেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
পাল্টা ট্যুইট করেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একদম সঠিকভাবেই বলেছেন ভারত এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রগীত অর্থাৎ জাতীয় সঙ্গীত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে তৃণমূল দেশের ভাষা সম্বন্ধে কিছুই জানে না। এরকমই ব্যুমেরাং হয়, যখন পার্থ, কুন্তল কিংবা শান্তনুর মত দলের নেতারা দেশের ভাষা না শিখে, টাকা লুঠ আর বিজেপিকে অকারণে আক্রমণে ব্যস্ত থাকে। এতে বিস্ময়ের কিছু নেই যে, গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় পরপর হারের পর, তৃণমূলের থেকে জাতীয় দলের তকমা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নাম না জেনেও শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান বলা যায়। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলা যায়, কাগজে লিখে নিয়ে এসে বড় বড় কথাও বলা যায়। ভোটের স্বার্থে না জেনেও অনেক কথা বলা যায়।  
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের মধ্যেই নাম না করে এদিন কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।