• facebook
  • twitter
Monday, 7 October, 2024

অক্টোবরে দিল্লির দরবারে তৃণমূল 

কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর –  বাংলার প্রাপ্য আদায় করতে অক্টোবরের শুরুতেই দিল্লির দরবারে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সেই কর্মসূচির চূড়ান্ত পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরী করে দিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের যাঁরা দিল্লির সেই বিক্ষোভ শামিল হবেন, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মতো যোগ দিতে হবে ১, ২ ও ৩ অক্টোবরের কর্মসূচিতে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ১ অক্টোবর দলের

কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর –  বাংলার প্রাপ্য আদায় করতে অক্টোবরের শুরুতেই দিল্লির দরবারে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সেই কর্মসূচির চূড়ান্ত পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরী করে দিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের যাঁরা দিল্লির সেই বিক্ষোভ শামিল হবেন, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মতো যোগ দিতে হবে ১, ২ ও ৩ অক্টোবরের কর্মসূচিতে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ১ অক্টোবর দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের নেতাদের দিল্লি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ অক্টোবর, গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতে তৃণমূলের প্রধান কর্মসূচি। ওইদিন রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে, সব গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে গান্ধীজির ছবিতে  শ্রদ্ধা জানানো হবে। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা প্রাপ্তির জন্য প্রতিবাদ চলছে, আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরা হবে হবে তাঁদের কাছে।
 

৩ অক্টোবর তৃণমূলের প্রতিবাদ হবে দিল্লির কৃষিভবনে। যন্তরমন্তর থেকে পদযাত্রা করে কৃষিভবন পর্যন্ত যাবেন তৃণমূল নেতারা। তাঁরা রাজ্য থেকে সংগৃহীত ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে যাবেন। কৃষিভবনে তা জমা দেবেন বাংলার মানুষের আবেদনের চিহ্ন স্বরূপ। এই কর্মসূচির অনুমতি মিলেছে। এদিকে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়  ৩ তারিখ কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এই তিনদিনব্যাপী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের থাকার জন্য রামলীলাস ময়দানে তাঁবু তৈরির অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি লিখেছিলেন। এখনও তার অনুমোদন মেলেনি। ২৩ তারিখ পর্যন্ত অনুমতি না মিললে আদালতে দ্বারস্থ হবে তৃণমূল। 

রাজনৈতিক মহলের মত, এই কর্মসূচির ফলে তৃণমূল যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে নেমেছিল, তা যে অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে, তাদের বকেয়া দাবি আদায় করতেই যে শাসকদল দিল্লি পৌঁছে  এত বড় কর্মসূচিতে নেমেছে, সেটা আবারও প্রমাণ হবে। তাতে বাংলার মানুষের মনে তৃণমূলের প্রতি  আস্থা আছে আরও মজবুত হবে।