মোদিকে নতুন তিনটি বিষয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ রাহুলের

অতীতে রাহুল গান্ধির প্রভাবিত বিষয় নিয়ে শাসক ও বিরােধীদের মধ্যে অনেকবার বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু রাহুল এবার বিতর্কের ভিন্ন তিনটি বিষয় রাখলেন নরেন্দ্র মােদির সামনে।

Written by SNS April 10, 2019 8:43 am

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Photo: IANS)

দিলি – লােকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে বিতর্কে বসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি’কে চ্যালেঞ্জ জানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। অতীতে রাহুল গান্ধির প্রভাবিত বিষয় নিয়ে শাসক ও বিরােধীদের মধ্যে অনেকবার বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু রাহুল এবার বিতর্কের ভিন্ন তিনটি বিষয় রাখলেন নরেন্দ্র মােদির সামনে।

দুর্নীতি নিয়ে নরেন্দ্র মােদিকে এর আগে বহুবার তীব্র আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধি। তিনি প্রতিবারই দাবি করেছেন দুর্নীতি ইস্যুতে মােদি তাঁর সঙ্গে মুখােমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন। এদিন টুইটে রাহুল গান্ধি লিখেছেন, ‘প্রিয় পিএম, দুর্নীতি নিয়ে আপনি কি আমার সঙ্গে বিতর্কে বসতে ভয় পাচ্ছেন? আমি আপনার জন্য বিষয়টি সহজ করে দিচ্ছি। নােট বই দেখে তৈরি হন। ১. রাফায়েল + অনিল আম্বানি, ২. নীরব মােদি, ৩. অমিত শাহ + নােটবন্দি’।

আজ মহারাষ্ট্রে লাতুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি কংগ্রেসের ইস্তেহারে পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলা হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন। তারপরই প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধি নতুন ৩টি ইস্যু নিয়ে মােদির মুখােমুখি বসার চ্যালেঞ্জ জানিলেন।

জানুয়ারি মাস থেকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি মােদির মুখােমুখি বসার জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন করে এসেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিতর্ক সভার মতাে বিশ মিনিটের জন্য একে অপরের মুখােমুখি বসার প্রস্তাবও দেন। আলােচনার বিষয় ছিল অবশ্যই রাফায়েল চুক্তি। কিন্তু ওনার সেই দম ছিল না বলে অভিযােগ করেন রাহুল গান্ধি। 

রাফায়েল যুদ্ধবিমান নির্মাণের জন্য ফ্রান্সের দাসাে অ্যাভিয়েশন সংস্থার সঙ্গে সহযােগী দেশ হিসাবে ভারতের অনিল আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্স ডিফেন্সের মধ্যে চুক্তি হয়। এরপর রাফায়েল চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সরব হয় কংগ্রেস। বিরােধী দল অভিযােগ তােলে যে, অনিল আম্বানিকে বিশেষ আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই মােদি সরকার ভারতীয় সংস্থা হ্যালকে বাদ দিয়ে আম্বানিকে বরাত পাইয়ে দিয়েছে। ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী নীরব মােদি, বিজয় মালিয়া এবং মেহুল চোকসীকে বিজেপি সরকার আড়াল করতেই তাঁদের বিদেশে পালাতে সাহায্য করা হয়েছে। আইনি জেরার মুখ থেকে আর্থিক প্রতারকদের বাঁচাতেই তাঁদের সাহায্য করেছেন সরকার। নােটবন্দির জন্য দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র ভেঙে পড়ে বলে অভিযােগ করেছিল কংগ্রেস। যদিও সেই সময় মােদি সরকার দাবি করেছিল বিরােধীরা যেভাবে অর্থনীতি ভেঙে পড়ার অভিযােগ তুলেছেন, আদৌও তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি লাতুরের জনসভায় কংগ্রেসকে আত্রমণ করে নতুন ভােটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, কংগ্রেস পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলেছে। এটা নতুন ভারত। এখানে সন্ত্রাসবাদীদের মেরুদণ্ড গুড়িয়ে দেওয়া হয়।