• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রাজ্যপাল আরিফের  বিরুদ্ধে এবার আদালতের দ্বারস্থ কেরল সরকার!

তিরুবন্তপুরম, ৭ নভেম্বর– এ যেন বাংলারই ছায়া। পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার বনাম তৃণমূল সরকারের সংঘাতকে মনে করিয়ে কেরল সরকার বনাম রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষ এতটাই চরমে উঠলো যে, খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে কেরলের বাম সরকার। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া

তিরুবন্তপুরম, ৭ নভেম্বর– এ যেন বাংলারই ছায়া। পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার বনাম তৃণমূল সরকারের সংঘাতকে মনে করিয়ে কেরল সরকার বনাম রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষ এতটাই চরমে উঠলো যে, খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে কেরলের বাম সরকার। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন জানানো হতে পারে।

সূত্রের খবর, বাম জোট সরকার ইতিমধ্যেই ফলি এস নরিম্যানের পরামর্শ চেয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনও চালিয়ে যাবে সিপিএম । শনিবার থেকে দলের দু’দিনের রাজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে রাজ্য কমিটি।

সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে কেরল সরকারের সংঘাত বেধেছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।তা নিয়ে কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন বিজয়ন। সরকারের দাবি, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে বার বার রাজ্য সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। একাধিক বিলে তিনি স্বাক্ষর করছেন না। এর জেরে রাজ্য সরকারের কাজে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজেও সমস্যা হচ্ছে। গত আগস্টে সরকার রাজ্যপালের কাছে যে ১১টি অর্ডিন্যান্স পাঠিয়েছিল সেখানে তিনি সই করতে চাননি।

Advertisement

সিপিএমের এক শীর্ষ নেতা জানান, তাঁরা বিষয়টি জাতীয়স্তরে নিয়ে যেতে চাইছেন। এদিকে ১৫ নভেম্বর রাজভবনের বাইরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের কথাও ভাবছে সিপিএম। সেখানে প্রতিনিধি পাঠাতে পারে ডিএমকে । 

Advertisement

 

Advertisement