মুকেশ ও অনিল আম্বানির জেড প্লাস নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

Written by SNS March 1, 2023 4:50 pm

 

দিল্লি : ১ মার্চ, ২০২৩ –মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানির জেড প্লাস নিরাপত্তা তুলে নিতে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যাঁদের জীবন সংশয় রয়েছে এবং যাঁরা সেই নিরাপত্তার ব্যয় বহন করতে পারবেন, তাঁদেরই জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া দরকার বলে মনে করছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বম্বে হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানায়, যাঁদের জীবন সংশয় রয়েছে এবং যাঁরা নিজেদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত খরচ বহন করতে সক্ষম, একমাত্র তাঁদেরই এই উচ্চপর্যায়ের সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় । যে ব্যক্তি ওই মামলা দায়ের করেন তাঁর আবেদনে বলা হয়েছিল, আম্বানিদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের টাকা ব্যবহার হচ্ছে। তাঁরা যথেষ্ট ধনী এবং নিজেদের নিরাপত্তার খরচ বহন করতে সক্ষম।তাই তাঁদের সরকারি জেড প্লাস নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জীবন সংশয় থাকলে এবং নিরাপত্তার ব্যয় বহন করতে পারলে ব্যক্তিবিশেষকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

মুকেশ আম্বানি ২০১৩ সাল থেকে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা পান। তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানিও ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা পান। নিরাপত্তার কারণেই আম্বানির সুরক্ষায় কম্যান্ডো সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । উল্লেখ্য, গত বছর আম্বানির মুম্বইয়ের বাসভবন অ্যান্টিলার সামনে থেকে একটি স্করপিও গাড়ি থেকে ২০টি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছিল। পাওয়া যায় হুমকি চিঠিও। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা যায়, যে গাড়িতে বোমা রাখা হয়েছিল তার মালিক ব্যবসায়ী মনসুখ হিরনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় গত বছরের ৫ মার্চ। রহস্য আরও গভীর হয়। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই স্বাধীনতা দিবসে ফের প্রাণনাশের হুমকি পান রিল্যায়ান্স কর্ণধার। রিল্যায়ান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিন মিনিটে মোট আটটি ফোন আসে। আম্বানি এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মুম্বইয়ের ডিবি মার্গ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, একজনকে  গ্রেফতারও করা হয়।

পুলিশ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কাদের জীবন সংশয় রয়েছে, তা নির্ধারণ করে সরকার। তার পরেই তাঁদের সরকারি জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জেড প্লাস নিরাপত্তাপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের জীবন সংশয়ের বিষয়টি নির্দিষ্ট সময় অন্তর খতিয়ে দেখা উচিত সরকারের।